বিদেশেই হবে আইপিএল। —ফাইল চিত্র।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত, আইসিসি এই ঘোষণা করতেই আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। আইপিএল আয়োজনের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে বোর্ডের অন্দরমহলে।
আইসিসি-র বৈঠকের পরের দিনই আইপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল জানিয়ে দিলেন, মেগা টুর্নামেন্টে কোনও কাটছাঁট করা হবে না। পূর্ণাঙ্গ আইপিএল-ই হবে। এবং টুর্নামেন্ট আয়োজন করার দৌড়ে এগিয়ে মরু-শহরই।
দেশের কোভিড-পরিস্থিতির জন্য আইপিএল চলে যেতে পারে বিদেশের মাটিতে। এ রকম খবর আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের নামও শোনা যাচ্ছিল আইপিএল-এর ভেন্যু হিসেবে। পটেল জানান, আইপিএল হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। তিনি বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত স্থির আছে পূর্ণাঙ্গ টুর্নামেন্টই হবে। ৬০টি ম্যাচই হবে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই হবে এ বারের আইপিএল।’’
আরও পড়ুন: ‘আইপিএল-ই বিশ্বের সেরা টি টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা’
মেগা টুর্নামেন্ট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দিন দশেকের মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলেছে আইপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিল। সেই বৈঠকেই আইপিএল-এর ক্রীড়াসূচি নির্ধারিত হবে বলে আভাস দিয়েছেন ব্রিজেশ পটেল। আমিরশাহির গ্যালারিতে কি আবেগে ফুটতে থাকা দর্শকদের দেখা যাবে? করোনা-পরিস্থিতিতে আমিরশাহির গ্যালারিও হয়তো ফাঁকাই থাকবে। যদিও সামান্য কিছু দর্শক নিয়ে ম্যাচ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বোর্ডের কাছে। সে সব বিষয়ই আলোচনা হবে গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে।
অতিমারি পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে শিবির করার ভাবনা রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বলেছেন, ‘‘প্লেয়ারদের অন্তত মাস খানেকের ট্রেনিং দরকার। বিসিসিআই এক বার দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেই আমরা সমস্ত পরিকল্পনা করে ফেলব। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে আইপিএল হবে দুবাইয়ে। আমরা তার জন্য তৈরি।’’