আইপিএলের দামি ক্রিকেটার ছিলেন কারা?
২০০৮ থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে এক এক বছর এক এক ক্রিকেটারকে কোটিপতি করেছে। কোন কোন ক্রিকেটার কোন সালে সব চেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন দেখে নেওয়া যাক।
প্রথম বারের আইপিএলে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারত অধিনায়ক হিসেবে ২০০৭ সালে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। তাঁকে নেওয়ার জন্য লড়াই চলে চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের। শেষ হাসি হেসেছিল চেন্নাই। ধোনিকে দলে নেওয়ার জন্য খরচ হয়েছিল ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
২০০৯ সালের আইপিএলে ভারতীয়রা নন, সব চেয়ে দাম পেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ এবং কেভিন পিটারসেন। ফ্লিনটফকে কিনেছিল চেন্নাই এবং পিটারসেনকে নিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। ২ ইংরেজ ক্রিকেটারকে নিতেই খরচ পড়েছিল ৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
পরের বারের আইপিএলে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার কায়রন পোলার্ড। মুম্বই তাঁকে নিয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে। একই দামে কলকাতা কিনেছিল নিউজিল্যান্ডের পেসার শেন বন্ডকে। ৯ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন বন্ড। অন্য দিকে পোলার্ড আজও মুম্বই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
২০১১ সালে কলকাতা ১৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনে গৌতম গম্ভীরকে। অধিনায়কের জন্য তাঁকে দলে নেওয়া প্রয়োজন ছিল কলকাতার। নিলামে দিল্লির সঙ্গে দড়ি টানাটানি চলতে থাকে তাদের। শেষ পর্যন্ত গম্ভীরকে জিতে নেয় কলকাতাই। গম্ভীরের হাত ধরে ট্রফিও জেতে তারা।
রবীন্দ্র জাডেজার জন্য ১২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে চেন্নাই। ভারতীয় অলরাউন্ডার যে কতটা কার্যকরী, তা জানতেন ধোনি। ২০১২ সালে তাই তাঁকে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল চেন্নাই। সফলও হয় তারা। তিনিই ছিলেন সে বারের সব চেয়ে বেশি দামের ক্রিকেটার।
বৃহস্পতিবারের নিলামে বড় নাম গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৩ সালে তিনিই ছিলেন সব চেয়ে বেশি দামের ক্রিকেটার। ৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে তাঁকে দলে নেয় মুম্বই। ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ৩৬ রান করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল।
পরের ২ বারের আইপিএলের সব চেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন যুবরাজ সিংহ। ২০১৪ সালে তাঁর দাম ছিল ১৪ কোটি টাকা। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সে বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৩৭৬ রান করেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে আরও বেশি দামি হয়ে ওঠেন যুবরাজ। ১৬ কোটি টাকা দিয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস কিনে নেয় তাঁকে।
২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালোর কেনে সব চেয়ে দামি ক্রিকেটারকে। ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে শেন ওয়াটসনকে দলে নেয় বিরাট কোহালির ব্যাঙ্গালোর। অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার যদিও অবসর নেন চেন্নাইয়ের দল থেকে।
২০১৭ এবং ২০১৮ সালের দামি ক্রিকেটার ছিলেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারকে ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেয় রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস। গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে ৬৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস আজও আইপিএলে স্মরণীয় শতরানগুলোর একটি। পরের আইপিএলে যদিও তাঁকে কিনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে তাঁর জন্য। তিনিই ছিলেন সে বারের সব চেয়ে দামি ক্রিকেটার।
২০১৯ সালে ২ ভারতীয় ক্রিকেটার ছিলেন সব চেয়ে দামি। বরুণ চক্রবর্তীকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনে কলকাতা। দুবাইয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন যে কেন তাঁকে এত দাম দিয়ে কিনেছিল কলকাতা। অন্য দিকে জয়দেব উনাদকটকে একই দামে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। বাঁহাতি পেসার যদিও সেই ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
২০২০ সালে ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কলকাতা কেনে প্যাট কামিন্সকে। টেস্টের এক নম্বর বোলার কলকাতার হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও দারুণ ছন্দে ছিলেন।
এ বারের নিলামে সব চেয়ে বেশি দাম কোন ক্রিকেটার পায় সেই দিকে থাকবে নজর। গত বারের ক্রিকেটারদের টপকে অন্য কোনও ক্রিকেটার দামি হয়ে ওঠেন কি না সেই দিকেও থাকবে নজর।