জয়ের পর উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলী। ছবি সংগৃহীত
করোনা আবহেই ফের দেশের মাটিতে ফিরল আইপিএল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই যে এত টানটান উত্তেজনা থাকবে কে জানত! বিরাট কোহলী ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একটা সময় ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে চলে এসেছিলেন। তবে দুজন দ্রুত ফিরতেই ফের ম্যাচে ফিরে আসে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। কারণ ২৭ বলে ৪৮ রান করে মোক্ষম সময়ে রান আউট হলেও কাজের কাজটা করে দিয়ে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্স। আর বাকি কাজটা ঠাণ্ডা মাথায় সেরে মাঠ ছাড়লেন হর্ষল পটেল। ফলে ৮ উইকেটে ১৬০ রান তুলে ২ উইকেটে জিতে নতুন মরসুম শুরু করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
৪ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। আর এ বার অল্প রান হাতে থাকলেও ব্যাট হাতে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেওয়া, তাই ম্যাচের সেরা হলেন গুজরাতের এই জোরে বোলার। ফলে স্বভাবতই জয়ের কৃতিত্ব তিনজনকে দিচ্ছেন কোহলী। প্রথম জন হর্ষল পটেল হলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তি ম্যাক্সওয়েল এবং ডিভিলিয়ার্স।
ম্যাচের শেষে কোহলী বলেন, “সবাই নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। একজন অধিনায়কের কাছে এর থেকে ভাল শুরু আর কিছু হতে পারে না। তবে বিশেষ ভাবে হর্ষলের কথা বলতে হবে। মাঝের ওভারে ও দারুণ বোলিং করে গেল। টি-টোয়েন্টিতে এত নিখুঁত লাইন-লেন্থ নিয়ে বোলিং অনেক দিন পরে দেখলাম। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স খুবই শক্তিশালী দল। তাই ওদের বিরুদ্ধে এই জয় দলকে আরও উজ্জীবিত করবে।” তবে শুধু হর্ষল নয়, দলের দুই বিদেশি তারকার প্রশংসা করলেন আরসিবি অধিনায়ক। বিরাট বলেন, “অনেক আশা করে ম্যাক্সওয়েলকে নেওয়া হয়েছে। ও প্রথম ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়ে দিল। ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে থাকলে যে কোনও রান তাড়া করা সহজ হয়ে যায়। আর ডিভিলিয়ার্স সম্পর্কে নতুন কী বলব! আমি ওর বহুমুখী প্রতিভার বরাবরের গুণমুগ্ধ। এই ম্যাচেও সেটা দেখা গেল।”
পাঁচ উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন হর্ষল পটেল। ছবি - টুইটার।
২০তম ওভারে দুরন্ত বোলিং করলেন হর্ষল। প্রথম বলে ক্রুণালকে আউট করার পর দ্বিতীয় বলেই পোলার্ডকে আউট করলেন গুজরাতের এই জোরে বোলার। তবে তাঁর হ্যাটট্রিক হল না। তৃতীয় বলে মার্কো জ্যানসেন বেঁচে গেলেও চতুর্থ বলেই ফেরালেন জানসেনকে। ফলে আইপিএলে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিলেন এই ডানহাতি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৮ রানেই থামে মুম্বই।
তবে হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও তাঁর আক্ষেপ নেই। বরং বললেন, “দলে নেওয়ার সময় থেকেই অধিনায়ক আমার কাজ বুঝিয়ে দিয়েছিল। তাছাড়া অনেক দিন ধরেই ইয়র্কার নিয়ে খাটা খাটনি করছি। অবশেষে আইপিএলে ৯৮ ম্যাচ খেলার পর সুফল পেলাম। তাই হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও আক্ষেপ নেই। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি, ৫ উইকেট নিয়েছি, এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।”