ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদ কি এখন বাকি দলগুলোর আনন্দ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য মাঠে নামছে? রাজস্থান রয়্যালস অন্তত সে রকমই মনে করবে আগের ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনদের কাছে হারের পরে।
ওই ম্যাচে হায়দরাবাদ শুধু সহজেই জেতেনি, একেবারে চাপমুক্ত মনে খেলেছে। যে কারণে বাকি ম্যাচগুলোয় অন্য দলগুলোর কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে ওরা। ডেভিড ওয়ার্নারকে বাইরে রাখাটা একটা বিরাট সিদ্ধান্ত। বছরের পর বছর ধরে ওয়ার্নার কিন্তু হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিল। তবে যে দিন থেকে কুঁচকির চোটে ভারতের বিরুদ্ধে দুটো টেস্টে ছিটকে গেল ওয়ার্নার, সে দিন থেকেই ও ভুগছে। ওর রানের রেখচিত্র ক্রমে নীচের
দিকে নেমেছে।
এ ছাড়া কেদার যাদবকেও বাদ দিয়েছে হায়দরাবাদ। কেদারও ভাল ফর্মে ছিল না এবং কোনও রকম অবদান রাখতে ব্যর্থ। কেদারের জায়গায় অভিষেক শর্মাকে দলে নেওয়া হয়েছে। অভিষেক হল এমন এক জন অলরাউন্ড ক্রিকেটার, যাকে সব অধিনায়ক দলে চায়। অভিষেক আবার বাঁ-হাতে ব্যাট আর স্পিনটা করে। যার ফলে ও দলে প্রয়োজনীয় নমনীয়তা আনতে পারে। সেটা ব্যাটিংয়ে হোক কী বোলিংয়ে। ওই ম্যাচে সুযোগটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে অভিষেক। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে ওর জুটিটা কোনও সমস্যা ছাড়াই রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয় এনে দেয় হায়দরাবাদকে।
আজ, বৃহস্পতিবার, সানরাইজ়ার্স হায়দারাবাদ বনাম চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচে দুই ঠান্ডা মাথার অধিনায়কের লড়াইও দেখা যাবে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কখনওই ঘাবড়ায় না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেটা আরও একবার দেখা গিয়েছে। কেকেআর যখন ম্যাচটা প্রায় ধরে নিয়েছে, তখনও আত্মবিশ্বাসী লাগছিল ধোনিকে। জেতার বিশ্বাসটা ছিল। যেটা ঠিক প্রমাণ করে দেয় রবীন্দ্র জাডেজা। ১৯তম ওভারে কুড়ির বেশি রান তুলে চেন্নাইকে জিতিয়ে।
হায়দরাবাদকে হারালেই প্লে-অফে চলে যাবে চেন্নাই। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের তখন বিশ্রাম দিতে পারবে ওরা। তার পরে প্লে-অফের লড়াইয়ে তরতাজা অবস্থায় নামাতে পারে তাদের। দু’দলেই দারুণ সব ক্রিকেটার আছে। কিন্তু আরও এক বার নজর থাকবে দুই অধিনায়কের উপরে। ক্রিকেটের দুই শীতল মস্তিষ্কের মালিক মুখোমুখি হচ্ছে এই লড়াইয়ে। (টিসিএম)