আলাপচারিতা: ম্যাচ শেষে সাউদি ও শুভমনের নিজস্বী। কেকেআর
সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদকে হারানোর পরে নাইটদের সামনে অঙ্ক এখন খুব সহজ। নেট রানরেট বেশি থাকায় (+০.২৯৪) শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেই প্লে-অফে চলে যাবে অইন মর্গ্যানের দল।
আপাতত নাইটদের মতোই প্লে-অফের স্বপ্ন বেঁচে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও। কিন্তু তাদের নেট রানরেট ভাল জায়গায় নেই। রাজস্থানের -০.৩৩৭। মুম্বইয়ের অবস্থা আরও খারাপ (-০.৪৫৩)।
আজ, মঙ্গলবার শারজায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। রাজস্থান যদি মুম্বইকে হারিয়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাবে রোহিত শর্মার দল। তখন কেকেআর বনাম রাজস্থান ম্যাচটি নক-আউট হিসেবেই ধরা হবে। সে ম্যাচে যারা জিতবে, প্লে-অফে চলে যাবে। কিন্তু রাজস্থান যদি মুম্বইয়ের কাছে হেরে যায় এবং নাইটরাও হেরে যায় রাজস্থানের কাছে, তখনও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকবে কেকেআর। প্রার্থনা করতে হবে, মুম্বইকে যেন হারিয়ে দেয় সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ। তা হলে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার মাত্র ছ’ম্যাচ জিতেই প্লে-অফে চলে যেতে পারবে কেকেআর। কিন্তু মুম্বই যদি টানা দু’টো ম্যাচ জেতে আর রাজস্থান ও কেকেআর একটি করে হারে, তখন পয়েন্টের ভিত্তিতে শেষ চারে চলে যাবেন রোহিতরা।
মঙ্গলবার শারজায় প্রতিযোগিতার শেষ ভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নজর থাকবে নাইটদেরও। কেকেআর সমর্থকদের জন্য সুসংবাদ, সোমবার থেকে জিমে ট্রেনিং শুরু করেছেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর বিশ্রাম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার থেকে পেশির জোর বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে তাঁর। ৭ অক্টোবর রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে না পারলেও প্লে-অফের আগেই হয়তো তৈরি হয়ে যাবেন বিধ্বংসী অলরাউন্ডার।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা শুভমন গিলের সঙ্গে রবিবার রাতে আলাপচারিতায় বসেছিলেন টিম সাউদি। আইপিএলের ওয়েবসাইটেই তুলে ধরা হয় সেই ভিডিয়ো। যেখানে শুভমন প্রশ্ন করেন, ‘‘দুবাইয়ের পিচে দু’উইকেট পেয়ে কেমন লাগল?’’ সাউদির উত্তর, ‘‘এই মাঠে আগের ম্যাচে ব্যাটাররা সাহায্য পেয়েছে। আজ শুরু থেকেই আমরা সাহায্য পাচ্ছিলাম। ভাল জায়গায় বল রেখে গিয়েছি। তারই ফলশ্রুতি দু’টি উইকেট।’’ শুভমন আরও প্রশ্ন করেন, ‘‘কেকেআরে এ বারই প্রথম মরসুম তোমার। দলের পরিবেশ উপভোগ করছ?’’ সাউদির উত্তর, ‘‘অবশ্যই। প্রত্যেকের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। আইপিএলের প্রথম দফায় খেলিনি। দ্বিতীয় দফায় খেলতে এসে খুবই ভাল লাগছে। সবার সঙ্গে প্রাণখোলা আলোচনা করতে পারছি।’’
সাউদির এ বার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘ভাল ব্যাট করলে। ক্রিজ়ে এতক্ষণ কাটানোর পরে তোমার কী অনুভূতি?’’ শুভমনের উত্তর, ‘‘রান করতে পারলে কার না ভাল লাগে! শুরুতে আমরা বল করায় বুঝতে পেরেছিলাম উইকেট সহজ নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘লক্ষ্য ছিল ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। শেষ ৩৫ রান বাকি থাকতে আক্রমণ করার কথা ভেবেছিলাম। সেটাই করেছি। এখন দু’দিন ছুটি। তার পর থেকে আবার প্রস্তুতি শুরু।’’
শুভমন রান পাওয়ার দিনই নাইট অধিনায়ক অইন মর্গ্যান মেনে নিলেন, তিনিও ছন্দে ফিরতে মরিয়া। বললেন, ‘‘এটা ঠিক যে আমি প্রত্যাশা মতো রান করতে পারছি না। আশা করছি দ্রুত রানের মধ্যে ফিরতে পারব।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমি মনে করি, বেশি দিন দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রান না করতে পারায় ভুলগুলো ধরা যায়। তা শুধরে বড় রান করার মতো জায়গায় আসতে খুব দেরি হবে না। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, দ্রুতই রানের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা দেখছি।’’