প্রতি ম্যাচেই এমন ছন্দে ব্যাট করছেন শিখর ধওয়ন। ফাইল চিত্র
৭ ম্যাচে ৪৪.৪২ গড় নিয়ে সর্বাধিক ৩১১ রান। সঙ্গে রয়েছে দুটি অর্ধ শতরান। স্ট্রাইক রেট চোখে পড়ার মতো ১৩১.৭৭। চলতি আইপিএল-এ শিখর ধওয়নকে যেন থামানোই যাচ্ছে না। দ্রুত রান তুলতে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ও নিত্য নতুন শট মারছেন। আর এতেই সাফল্য পাচ্ছেন বলে জানালেন গব্বর।
কমলা টুপির অন্যতম দাবিদার নিজেকে প্রায় প্রতি ম্যাচে মেলে ধরে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে দাবি জোরালো করছেন। গত মরসুম পর্যন্ত এই ধরনের ক্রিকেটে তাঁর কম স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক গুঞ্জন চলছিল। তবে এ বার সেই সব কিছুকে জলে ফেলে দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের এই বাঁহাতি ওপেনার।
গত কয়েকটি ম্যাচে বাইশ গজে ঝড় তুললেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ধীরেসুস্থে ইনিংস গড়েন শিখর। গত ম্যাচে ৪৭ বলে ৪৬ রান করার পর শিখর বললেন, “এই ম্যাচে পৃথ্বী শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিল। তাই আমি ধীরেসুস্থে ইনিংস গড়লাম। পৃথ্বী ছন্দে থাকলে ওর ব্যাটিং উপভোগ করি।” এরপরেই নিজের ব্যাটিং নিয়ে বললেন, “ক্রিকেটের ব্যাকরণ মেনে খেললেও এ বারের আইপিএল-এ নামার আগে বেশ কিছু শট আয়ত্ত করেছিলাম। বাইরে থেকে দেখলে সেই শটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হতে পারে। তবে নিজের স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে দলকে সাহায্য করার জন্য খেলার পরিস্থিতি বিচার করে ঝুঁকিপূর্ণ ও নিত্য নতুন শট মারছি। কলকাতার বিরুদ্ধে ঝুঁকি নেওয়ার কোনও দরকার ছিল না। তাই পৃথ্বীকে সাহায্য করে গিয়েছি।”
ক্রিকেট এক বলের খেলা। তাই ঝুঁকিপূর্ণ শট মারতে গেলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেটা ধওয়ন বেশ ভালই জানেন। তবুও বললেন, “খেলায় ভাল কিংবা মন্দ সময় বলে কিছু হয়না। ব্যাট কথা বললে সবাই চুপ করে যায়। এ বার সেটাই হচ্ছে। ঝুঁকি ও নিত্য নতুন শট মেরে সাফল্য পাচ্ছি। তাই এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে চাই।”
তাঁর ব্যাটিং ও দলের সাফল্যের নেপথ্যে রিকি পণ্টিংয়ের অনেক অবদান আছে বলেও মনে করেন ধওয়ন। শেষে বললেন, “রিকি কত বড় ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক ছিল সেটা আমরা সবাই জানি। কোচ হিসেবেও সুনামের কাজ করছে। ওর জন্যই আমাদের সাজঘর একটা সুখি পরিবারের মতো।”