কৃষক পরিবারে জন্ম ত্যাগীকে বরাবরই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ফাইল চিত্র।
তাঁর বোলিংয়ে সবাই অবাক। ব্যতিক্রম নন তিনি নিজেও। শেষ ওভারে পঞ্জাব কিংসের দরকার ছিল ৪ রান, তাদের হাতে ছিল ৮ উইকেট। সেখান থেকে কার্তিক ত্যাগী রাজস্থান রয়্যালসকে জিতিয়ে দেন। তাঁর শেষ ওভারে ওঠে ১ রান, তুলে নেন ২ উইকেট।
ম্যাচ জেতানোর পরে ত্যাগী বলছেন, ‘‘বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, টি-টোয়েন্টি এমন এক ধরনের ক্রিকেট, যেখানে প্রতি মুহূর্তে রঙ বদলাতে থাকে। তাই বিশ্বাস রাখতে হয়েছিল। আমি নিজেও তো যথেষ্ট খেলা দেখেছি। তাতে বুঝতে পেরেছি, এখানে অবাক করার মতো ঘটনা ঘটে। এ বার আমি এই অবাক করার মতো ঘটনা ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলাম।’’
ভুবনেশ্বর কুমার, প্রবীণ কুমারের মতো জোরে বোলার যেখান থেকে উঠে এসেছেন, সেই উত্তরপ্রদেশের হাপুরের ছেলে ত্যাগীও। কৃষক পরিবারে জন্ম ত্যাগীকে বরাবরই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। সেই কারণে ক্রিকেটকে যখন পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা ঠিক করেন, তখন মা-বাবার সমর্থন থাকলেও আত্মীয়-স্বজনরা খুব একটা উৎসাহ দেননি।
কিন্তু ওসব আমল না দিয়ে মেরঠের অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়ে যান। ১৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়। কিন্তু শুরুতেই চোটের জন্য দুটি বছর নষ্ট হয়। তবে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন ত্যাগী। সেখানে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিনিই সেরা ছিলেন। মোট ৪৪ ওভার বল করে ১১টি উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই প্রতিযোগিতায় তাঁর ওভার পিছু রান দেওয়ার সংখ্যা ছিল ৩.৭।
এ বছরের অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি নেট বোলার হিসেবে ভারতীয় দলের সঙ্গে যান। যখন মনে করা হচ্ছিল, সেই অভিজ্ঞতা আইপিএল-এও কাজে লাগাবেন, তখন চোট পেয়ে বসেন। প্রথম পর্বে আর খেলা হয়নি ত্যাগীর। বলেন, ‘‘যখন সুস্থ হলাম, খেলার মতো জায়গায় এলাম, ততদিনে আইপিএল স্থগিত হয়ে গিয়েছে। খুব ভেঙে পড়েছিলাম। অপেক্ষায় ছিলাম, আবার কবে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সেই জায়গায় শুরুতেই দলকে জেতাতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’