ফাইল চিত্র।
রাজস্থান রয়্যালসকে ছিটকে দিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে আজ, মঙ্গলবার দারুণ কিছু করতে হবে।
মরুশহরের প্রচণ্ড গরম বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তি, কারণ যাই হোক না কেন, মুম্বইকে কিন্তু মাঠে খুবই সাধারণ দেখিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটা ভাল ছয় বা চার মারার পরেই ওদের ব্যাটাররা অদ্ভুত সব শট খেলে আউট হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে আউট হওয়ার পিছনে কিন্তু দারুণ একটা ডেলিভারি কারণ নয়। ওদের খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে রানটাও স্কোরবোর্ডে সে ভাবে উঠছে না।
ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যেখানে রান আউট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সেখানে এমন ভাবে বল ছুড়ল মুম্বইয়ের ফিল্ডাররা, ওভারথ্রোয়ে বাড়তি রান হয়ে গেল। যার পরে বোলারদের বিস্ময় দৃষ্টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ফিল্ডারের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী আছে। এ রকম ফিল্ডিংয়ের কারণে বোলারদের মনঃসংযোগও নষ্ট হচ্ছে। পরের বলটা করার সময় যার ফলটা দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই। এই রকম পরিস্থিতি থেকে মুম্বই এ বার বেরিয়ে আসতে পারে কি না, সেটাই দেখার। চ্যাম্পিয়নরা অবশ্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই সেরা খেলাটা বার করে আনতে পারে। আর অতীতে আমরা দেখেছি, এই রকম অবস্থা থেকেও মুম্বই বার হয়ে এসেছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালস কিন্তু দারুণ ক্রিকেট খেলল। এত দিন বাদে ওরা শিবম দুবেকে খেলাল। গত বছর পর্যন্ত শিবম কিন্তু ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিল। কী ভাবে ওকে এত দিন প্রথম এগারোর বাইরে রেখেছিল রাজস্থান, সেটা ওরাই বলতে পারবে। যাই হোক, প্রথম সুযোগটা দারুণ ভাবে কাজে লাগাল শিবম। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়ল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটিংও আড়ালে চলে গিয়েছিল শিবমের দাপটে।
হার্দিক পাণ্ড্য যখন চোট পেয়ে ভারতীয় দলের বাইরে চলে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই শিবমের নাম উঠে এসেছিল বিকল্প হিসেবে। কিন্তু ভারতীয় দলের ব্যাটিং অর্ডারে এক বার উপরে, এক বার নীচে খেলানো হয় ওকে। যেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শিবমের কাছে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে আনার পরে ও হাফসেঞ্চুরি করেছিল। কিন্তু তার পরের ম্যাচেই আবার ওকে নীচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে এক জন তরুণ ক্রিকেটার কখনওই নিশ্চিন্ত মনে খেলতে পারবে না। শেষ দিকে নামার ফলে শিবম হাতে কয়েকটা ওভার পেত। আর ওই সময় ওকে সব বলে ব্যাট চালাতে হত। সেটা করতে গিয়ে আউট হয়েছে আর দেখে মনে হয়েছে ছেলেটা রান করতে ব্যর্থ। অথচ ওই কয়েক ওভারে কারও পক্ষেই খেলা ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
দ্রুত রান করার তাগিদে আগে শিবম ওর সামনের পা মিডউইকেটের দিকে সরিয়ে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে আউট হত। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ও সামনের পা অনেকটা সোজা রেখে খেলল। যার ফলে ব্যাটটাও এখন সোজা নামছিল।
ভুললে চলবে না, শিবম কিন্তু মুম্বইয়েরই ছেলে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ও যেমন ব্যাট করল, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও যদি সে রকম করে, তা হলে রোহিত শর্মাদের হয়তো আগেই বাড়ি ফিরে যেতে হবে। (টিসিএম)