প্রিয় তারকার নামে বোনপোর নাম রেখেছিলেন মাসি। আড়াই দশক পরে সে দিনের শিশুও আজ তারকা হওয়ার পথে। তবে অভিনয়ে নন। তামিলনাড়ুর তরুণ শাহরুখ খান খ্যাতির আলোয় এসেছেন ক্রিকেটের হাত ধরে।
সদ্য সমাপ্ত আইপিএল ২০২১ নিলামে তাঁকে পঞ্জাব কিংস কিনে নিয়েছে সওয়া ৫ কোটি টাকায়
শাহরুখের জন্ম ১৯৯৫ সালের ২৭ মে। অনূর্ধ্ব ১৩ স্তর থেকে ক্রিকেট খেলছেন তিনি। প্রথম থেকেই নজর কেড়েছিলেন বাইশ গজে। নিজের বয়সসীমায় সবথেকে বেশি রান করেছিলেন তিনিই। তখনই তাঁর মনে হয়েছিল, ভবিষ্যতে ক্রিকেট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, চেন্নাইয়ের এই তরুণের ক্রিকেট প্রতিভা বহুমুখী। অফ স্পিন এবং ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও তিনি অসম্ভব ক্ষিপ্র।
শাহরুখ জানিয়েছেন, শুরুর দিকে তিনি শুধুই অফ স্পিন বোলিং করতেন। গত দু’বছরে ফাস্ট বোলিং শুরু করেছেন।
ইতিমধ্যে তিনি পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২০টি ওয়ান ডে এবং ৩১টি ঘরোয়া টি-২০ ম্যাচে তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর কেরিয়ারের সূত্রপাতে প্রশিক্ষক ছিলেন আর বেঙ্কটেশ। এখন তিনি তামিলনাড়ুর প্রবীণ নির্বাচক। তাঁর মতে, ক্রিকেট খেলার প্রথম দিন থেকেই শাহরুখের মধ্যে ভাল অলরাউন্ডারের সব লক্ষণ উজ্জ্বল।
২৫ বছর বয়সি শাহরুখ হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত। লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে ৩০ অথবা ৪০ বলে চটজলদি রান তোলা তাঁর তুরুপের তাস। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে তিনি বাজিমাত করেছেন এই ঘরানার ক্রিকেটেই।
ক্রিকেটের পাশাপাশি তিনি দক্ষ সাঁতারেও। জুনিয়র স্তরে তিনি ছিলেন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু। তবে ক্রিকেটের দক্ষতা পেয়েছেন বাবার কাছ থেকেই। শাহরুখের বাবা ছিলেন লোয়ার ডিভিশনের ক্রিকেটার।
শাহরুখ প্রথম বার টি-২০ ম্যাচ খেলেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। প্রথম ম্যাচেই চমকপ্রদ পারফরম্যান্স। গোয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে মাত্র ৮ বলে ২১ রান করেছিলেন তিনি।
২০১৩-’১৪ বিজয় হজারে ট্রফিতে তামিলনাড়ুর হয়ে লিস্ট এ ম্যাচে তাঁর আত্মপ্রকাশ। ২০১৮-’১৯ রনজি ট্রফিতে তামিলনাড়ুর হয়ে প্রথম বার খেলেন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে।
তবে অভিষেক টি-২০ প্রতিযোগিতায় গোটা টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচের পরে তিনি খেলেছিলেন মাত্র ৪টি ম্যাচে। সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতা থেকে তাঁর ব্যাটে এসেছিল ৩১ রান।
এর পরই তিনি সুযোগ পান তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে। অভিনব মুকুন্দের পাশাপাশি তিনিও ছিলেন টুর্নামেন্টের নির্ভরযোগ্য ওপেনার। ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা, শাহরুখ লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।