পর পর ম্যাচ হেরে বিপাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বইয়ের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের পথে ফিরতে চাইবে মরিয়া কলকাতা। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, বোলিং আক্রমণের বিফলতা, এমন অনেক কিছুই ঢেকে ফেলতে হবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের সামনে। জয়ের স্বাদ পেয়ে যাওয়া চেন্নাইকে ঠেকাতে দলে ঠিক কী কী পরিবর্তন করতে পারে নাইট শিবির? দেখে নেওয়া নাইটদের সম্ভাব্য একাদশ।
নীতীশ রানা: ৩ ম্যাচে ১৫৫ রান করে কলকাতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনিই। তাঁর ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই এগিয়ে চলেছে কলকাতা।
শুভমন গিল: বিরাট কোহলীদের বিরুদ্ধে শুরু করলেও বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। পঞ্জাব তনয়কে বড় দায়িত্ব নিতেই হবে। না হলে হয়ত তাঁর বিকল্প খুঁজতে হবে নাইটদের।
রাহুল ত্রিপাঠি: রান পাচ্ছেন তিনিও। নাইটদের প্রথম তিনে পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অইন মর্গ্যান: প্রশ্ন উঠছে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে। তবে শুধু অধিনায়ক নন, ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজেকে মেলে ধরতে হবে মর্গ্যানকে। মিডল অর্ডারে তিনি রান না পেলে জেতা মুশকিল কলকাতার।
শাকিব আল হাসান: কিছুটা ওপরে ব্যাট করা উচিত তাঁর? এমনই মত অনেকের। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তাঁকে এত পরে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ভুল করছে কেকেআর?
দীনেশ কার্তিক: গত বারের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মাঝ পথে তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মর্গ্যানের হাতে। তবে তাতে যে ব্যাট হাতে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন কার্তিক তেমনটা বলছে না স্কোরবোর্ড।
আন্দ্রে রাসেল: ব্যাট হাতে সেই ভাবে ফর্মে নেই তিনি। কিছুটা পরের দিকে নামানো যেতেই পারে তাঁকে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ছন্দ ফিরে পেলে অনেকটাই চিন্তা কমে যাবে কেকেআর-এর।
সুনীল নারাইন: মুম্বইয়ের পিচে তাঁকে ফিরিয়ে এনে এক বার দেখা যেতেই পারে। প্রয়োজনে তাঁর ব্যাট যে কথা বলে সেটা জানতে বাকি নেই নাইট সমর্থকদের।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ: দলের অভিজ্ঞ পেসার হিসেবে দায়িত্ব নিতেই হবে তাঁকে। এখনও অবধি ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
শিবম মাভি: এই তরুণ পেসার গত বার নজর কেড়েছিলেন। সুযোগ দিয়ে দেখা যেতে পারে এ বারেও। বোলিং বিভাগের ব্যর্থতা ঢাকতে পারেন তিনি।
বরুণ চক্রবর্তী: তাঁকে এক ওভার করিয়ে সরিয়ে নেওয়া বিস্তর প্রশ্নের মুখে পরতে হয়েছে অধিনায়ককে। পাওয়ার প্লে-তে বরুণ যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আগের ম্যাচেই।