প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়েই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামতে পারবেন অইন মর্গ্যানরা। তবে সামনে মুম্বই মানেই বড় কাঁটা। প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলীর কাছে হারের পর কলকাতার বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া থাকবেন রোহিত শর্মা। এমন অবস্থায় কেমন হতে পারে কলকাতার প্রথম একাদশ?
শুভমন গিল: প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও কলকাতার ওপেনিংয়ে বড় ভরসা তিনিই। পঞ্জাবের তরুণ এই ব্যাটসম্যান গত বারের আইপিএল-এ সব চেয়ে বেশি রান করেছিলেন কলকাতার হয়ে।
নীতীশ রানা: প্রথম ম্যাচেই নজর কেড়েছেন। ৫৬ বলে ৮০ রান করে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনিই। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও তাঁর ব্যাট থেকে বড় রান চাইবে কলকাতা।
রাহুল ত্রিপাঠি: তাঁকে ওপেনার হিসেবে গত বারের আইপিএল-এ দেখা গেলেও এ বার ৩ নম্বরে নামতে দেখা যায় প্রথম ম্যাচে। রানও পেয়েছেন রাহুল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও সেখানেই নামতে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
দীনেশ কার্তিক: চার নম্বরে গত ম্যাচে নেমেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। রান পাননি ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ কার্তিককে।
অইন মর্গ্যান: ইংরেজ অধিনায়ক ৫ নম্বরেই স্বচ্ছন্দ। রানের গতি বাড়াতে পারেন যে কোনও সময়। সেই জায়গায় তাঁকেই দেখা যাওয়ার সম্ভবনা বেশি।
আন্দ্রে রাসেল: গত বারের আইপিএল-এর থেকে অনেক বেশি ফিট দেখাচ্ছে রাসেলকে। বিধ্বংসী রূপেই তাঁকে দেখতে চাইবেন কলকাতার সমর্থকরা।
শাকিব অল হাসান: ব্যাটে, বলে কলকাতার বড় ভরসা এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। সুযোগ পেলে ব্যাট হাতেও নজর কাড়তে পারেন তিনি।
প্যাট কামিন্স: অজি পেসার কলকাতা দলের প্রধান বোলার। তাঁর নেতৃত্বেই বোলিং আক্রমণ গড়েন মর্গ্যান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিততে হলে কামিন্সকে বড় ভূমিকা নিতেই হবে।
হরভজন সিংহ: প্রথম ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল করেছিলেন। মর্গ্যান খুশি তাঁর নিঃস্বার্থ মানসিকতা দেখে। অন্যদের সাহায্য করছিলেন সব সময়।
বরুণ চক্রবর্তী: ভারতীয় দলে ঢোকা হয়নি ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায়। কলকাতা দলে যদিও তিনি থাকছেনই। প্রথম ম্যাচে যদিও উইকেট পাননি এই স্পিনার।
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ: বিরাট কোহলীর সংসার তাঁকে আরও অভিজ্ঞ করেছে বলাই যায়। প্রথম ম্যাচে কলকাতার হয়ে সব চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনিই। রোহিতদের হারাতে এই ভারতীয় পেসারকে আরও আক্রমণাত্মক রূপে দেখতে চাইবেন সমর্থকরা।