এবারের আইপিএল বাতিল। ফাইল ছবি
একের পর এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আইপিএল-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসেছিল গভর্নিং কাউন্সিল। সেই বৈঠক কার্যত ১০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। তার মধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, প্রতিযোগিতা আপাতত বন্ধ রাখা হবে। সচিব জয় শাহ বৈঠকে উপস্থিত বাকিদের জানিয়ে দেন, জৈব সুরক্ষা বলয় থাকলেও এই মুহূর্তে আইপিএল চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়াই সব থেকে ভাল।
বৈঠকে থাকা এক সদস্য প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু বাকিরা সবাই এর বিরোধিতা করেন। বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের কাছেও আর বিকল্প ছিল না। দিল্লি এবং আমদাবাদে ক্রিকেটাররা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে বেশিরভাগ দলই কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুতে যেতে অস্বীকার করেন। দুই শহরেই করোনার হানা ক্রমশ বাড়ছে।
যাত্রা কমাতে এক শহরে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করাও অসম্ভব ছিল। আগামী কয়েকদিনে আরও কতজন পজিটিভ হবেন, সে সম্পর্কে কারওরই ধারণা ছিল না। বিভিন্ন শিবিরেও ভয়ের উদ্রেক হয়েছিল। প্রথমে বোর্ড ভেবেছিল এক সপ্তাহের জন্য প্রতিযোগিতা থামিয়ে পরে দিনে দুটি করে ম্যাচ খেলিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু পরপর পজিটিভ কেস এই সম্ভাবনাতেও ধাক্কা দেয়।
বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এরকম হবে জানলে আইপিএল তাঁরা দেশে আয়োজন করতেনই না। তাঁর কথায়, “আমদাবাদ, চেন্নাই এবং পুনেতে সফল ভাবে ইংল্যান্ড সিরিজ আয়োজন করেছিলাম। তখন পরিস্থিতি এরকম ছিল না। কিন্তু এখন যা হচ্ছে, সেটা আগে থেকে জানলে বিদেশেই আইপিএল করতাম।”