দিল্লিকে একাই জেতালেন পৃথ্বী। ছবি আইপিএল
পন্থ ছয় মারতে গিয়ে আউট হলেও দিল্লির বাকি ব্যাটসম্যানরা ভুল করলেন না। কলকাতাকে ৭ উইকেটে হারাল দিল্লি।
জেতার জন্য দরকার ৫ রান। ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতাতে গিয়েছিলেন পন্থ। কিন্তু সীমানার ধারে শিবম মাভির হাতে তালুবন্দি হলেন।
পন্থের দুই ছক্কায় শতরানের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল। তবু মারতে গিয়ে ম্যাচের শেষ প্রান্তে উইকেট দিলেন পৃথ্বী।
ইনিংসের চতুর্দশ ওভারে এসে অবশেষে সাফল্য পেল কলকাতা। কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ধওয়ন। কিন্তু দিল্লিকে ৩৭ বলে ২৩ তুলতে হবে। অর্থাৎ কলকাতার হার কার্যত নিশ্চিত।
জয়ের থেকে আর মাত্র ৪২ রান দূরে দিল্লি। পৃথ্বী ৭১ রানে এবং ধওয়ন ৩৯ রানে ব্যাট করছেন।
মাত্র ১৮ বলেই ৫০ পেরিয়ে গেলেন পৃথ্বী শ। মেরেছেন ৯টি চার এবং ১টি ছয়। এর মধ্যে ৬টি চার এসেছে প্রথম ওভারেই।
পৃথ্বী এবং শিখরের দাপটের বেসামাল কলকাতা। পাওয়ার প্লে-তে এ মরসুমের সর্বোচ্চ রান উঠে গেল। ১৬ বলে ৪৮ করে অপরাজিত পৃথ্বী।
রানের ঝড় থামার কোনও লক্ষণই নেই। পাওয়ার প্লে-র এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক কার্যত পার করে ফেলেছে দিল্লি।
যতটা খারাপ শুরু হতে পারে, বোলিংয়ে ততটাই খারাপ শুরু কলকাতার। শিবম মাভির প্রথম ওভারের প্রতিটি বলেই চার মারলেন পৃথ্বী শ। প্রথম ওভারেই উঠল ২৫ রান।
আস্থার দাম দিলেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে তিনিই কলকাতার কান্ডারি হয়ে দাঁড়ালেন। রাবাডা, আবেশ খানদের পিটিয়ে ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেললেন তিনি।
কলকাতার একমাত্র ভরসা রাসেলই দায়িত্ব নিয়েছেন রান তোলার। বাকি ১২টি বলে তাঁকেই ভূমিকা নিতে হবে।
ভাল খেলছিলেন। কিন্তু সাহসী হয়ে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে অক্ষরের বলে ফিরতে হল কার্তিককে (১৪)।
সিএসকে-র বিরুদ্ধে যে জুটি ম্যাচ জেতানোর জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল তাঁরা ফের দিল্লি বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছে।
ম্যাচের ৫ ওভার বাকি। কিন্তু এখনও একশোর গন্ডিও পেরোতে পারল না কলকাতা। রাসেল ক্রিজে থাকলেও হাত খুলতে পারেননি এখনও।
দীর্ঘক্ষণ ধরে খেলতে খেলতে উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরলেন শুভমন গিল। ৪৩ রান করলেন তিনি।
পরপর দুটি উইকেট পড়ে গেল কলকাতার। মর্গ্যান ফেরার পরের বলেই সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে দিলেন ললিত যাদব।
দিনের পর দিন যাচ্ছে। কিন্তু কেকেআর নেতা অইন মর্গ্যানের ব্যাটে আর রান নেই। ছয় মারতে গিয়ে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। এক রানও করতে পারেননি।
তুলে মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের বলে ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি ১৯ রান করেছেন।
ইনিংসের অর্ধেক প্রায় হয়ে এলেও কিছুতেই কলকাতার রানের গতি বাড়ছে না। শুভমন গিল ৩৪ রান করতে ২৮ বল নিয়েছে। রাহুল ত্রিপাঠী ১৪ বলে ১৫ করেছেন।