আইপিএলে কেকেআরের সেরা বোলিং রাসেলের। ছবি আইপিএল।
ইনিংসের শুরুতে ২ ওভারে ১৭ রান দেওয়া হরভজন সিংহর তখনও ২ ওভার বাকি। সবাই ভেবেছিলেন শুরুর মতো শেষটাও হয়ত ভাজ্জিই করবেন। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক অইন মর্গ্যান ১৮-তম ওভারে বল তুলে দিলেন এই ম্যাচে একটাও বল না করা আন্দ্রে রাসেলের হাতে। ‘দ্রে রাস’ ১২ বলে ১৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ৫ উইকেট। দু’বার পৌঁছে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের মুখে।
চকিতে এত কিছু করার পরেও দুই ইনিংসের মাঝে রাসেল যা বললেন, তাতে যেন কিছুই হয়নি। বললেন, ‘‘আমি তো পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে যাচ্ছি, দায়িত্ব নিচ্ছি।’’ চোখের নিমেষে ৫ উইকেট। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শেষের ওভারগুলোয় মার খেয়ে যাওয়ার যেরকম সম্ভাবনা থাকে, তেমনি উইকেট নেওয়ারও সুযোগ থাকে। আমি তো মাঠে সারাক্ষণই স্ট্রেচিং করে, জগিং করে নিজেকে তৈরি রাখি। ১৮ ওভারে বল করার জন্যও প্রস্তুত থাকি।’’
হার্দিক পাণ্ড্য ও কায়রন পোলার্ডের বিরুদ্ধে শেষের ওভারে বল করা যে কঠিন ছিল, সে কথা স্বীকার করে নিয়ে রাসেল বললেন, ‘‘হার্দিক, পোলার্ডদের বিরুদ্ধে বল করা যেকোনও সময়ে কঠিন কাজ। পোলার্ডকে আগে ফিরিয়ে দেওয়াটা সবসময়ই ভাল। আমরা সবাই জানি, ও কী করতে পারে।’’
পোলার্ড দিয়ে শুরু। এরপর রাসেলের বাকি ৪ শিকার মার্কো জানসেন, ক্রুণাল পাণ্ড্য, যশপ্রীত বুমরা ও রাহুল চাহার। এর মধ্যে পোলার্ড ও জানসেনকে ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ফিরিয়ে দেন। শেষ ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে রাসেল তুলে নেন যথাক্রমে ক্রুণাল, বুমরা ও চাহারকে।