KKR

নারাইন, শাকিবের স্পিনে আস্থা রাখছেন অধিনায়ক

অইন মর্গ্যানের দলের স্পিন বিভাগে রয়েছেন সুনীল নারাইন, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী। এ বার নেওয়া হয়েছে শাকিব-আল-হাসানকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১ ০৬:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মুম্বই-আরসিবি ম্যাচ দেখার পরে নাইট শিবিরে ধারণা পরিষ্কার, মন্থর গতির পিচ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। আজ, রবিবার সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে স্পিন বিভাগেই ভরসা রাখছে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির।

Advertisement

অইন মর্গ্যানের দলের স্পিন বিভাগে রয়েছেন সুনীল নারাইন, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী। এ বার নেওয়া হয়েছে শাকিব-আল-হাসানকে। মর্গ্যান জানিয়েছেন, শাকিব আসায় দলের বৈচিত্র ও ভারসাম্য বেড়েছে। বাঁ-হাতি স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গে বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে শাকিবের। গত বার ব্যাটিংই কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নাইটদের। শাকিব আসায় মাঝের দিকের ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য বাড়বে। আন্দ্রে রাসেলের উপরে অতিরিক্ত নির্ভরতাও কমতে পারে। গত বার সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটিও হাফসেঞ্চুরি আসেনি রাসেলের ব্যাট থেকে। মরুশহরে নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল রাসেল-ঝড়। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের উপর থেকে বাড়তি চাপ কমে গেলে তাঁকে পুরনো ছন্দে পাওয়া যায় কি না, তা সময়ই বলবে।

নাইটদের প্রতিপক্ষের অস্ত্রও তাদের স্পিন বিভাগ। চেন্নাইয়ের পরিবেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন রশিদ খান। রয়েছেন শাহবাজ় নাদিম, মুজিব-উর-রহমানের মতো প্রতিভা। পেস বিভাগে দাপট দেখা যেতে পারে ভুবনেশ্বর কুমার ও টি নটরাজনের। ভুবনেশ্বর যে কোনও উইকেটে মানিয়ে নিতে সক্ষম। তাঁর বোলিং বৈচিত্রই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। শেষের ওভারগুলোয় নটরাজনের ইয়র্কারও পরীক্ষায় ফেলবে রাসেলদের। ব্যাটিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টোর বিধ্বংসী জুটি অপেক্ষা করবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, শিবম মাভিদের জন্য। এই জুটি দ্রুত ভেঙে দিতে পারলেই বিপক্ষকে চাপে ফেলা সম্ভব। কারণ, হায়দরাবাদের জয়ের নেপথ্যে সব চেয়ে বেশি অবদান রাখে তাদের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি।

Advertisement

মর্গ্যান যদিও বিপক্ষ নিয়ে ভাবতে নারাজ। শনিবার ম্যাচের আগের দিন নাইটদের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “আমি সত্যি এ বারের দল নিয়ে আশাবাদী। নিলামে স্বল্প অর্থ ব্যয় করে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া হয়েছে। গত বারের চেয়ে এ বার আরও শক্তিশালী আমরা।”

নাইট অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাকিবকে দলে নেওয়ার নেপথ্যে কী পরিকল্পনা লুকিয়ে আছে? মর্গ্যানের উত্তর, “ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে খেলতে হবে। সব জায়গার পরিবেশ এক রকম নয়। শাকিব আসায় দলের ভারসাম্য ও বৈচিত্র বেড়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গেই আইপিএলে দুরন্ত কিছু পারফরম্যান্স রয়েছে ওর। শাকিবের অভিজ্ঞতাও আমরা কাজে লাগাতে পারব। আশা করি, নিরাশ
হব না।”

মর্গ্যান মনে করেন, দলকে বিপদ থেকে ম্যাচে ফেরাতে হলে শাকিব ও সুনীল নারাইনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকা খুব জরুরি। তাঁর কথায়, “আইপিএল মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় দলে এমন চরিত্র প্রয়োজন যাদের আচরণ কখনওই পাল্টায় না। শাকিব ও নারাইন সে রকমই চরিত্র। দল বিপদে পড়লে নির্দ্বিধায় নারাইন ও শাকিবের হাতে বল তুলে দেওয়া যায়। দ্রুত রান তোলার লক্ষ্যেও ব্যাট হাতে নামিয়ে দেওয়া যায় তাদের।”

নাইটদের ওপেনিং বিভাগে এ বার স্থায়িত্ব আনার লক্ষ্যে মর্গ্যান। তাই শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যেতে পারে রাহুল ত্রিপাঠীকে। তিন নম্বরে খেলানো হতে পারে নীতীশ রানাকে। নারাইন, রাসেল, মর্গ্যান, কার্তিকরা সামলাবেন মাঝের দিকের ব্যাটিং বিভাগ। পরিস্থিতি অনুযায়ী এগিয়ে-পিছিয়ে নামবেন তাঁরা। মর্গ্যান উচ্ছ্বসিত শুভমনের বর্তমান ছন্দে। তাঁর কথায়, “গত বার নিলামের সময় থেকেই বলা হয়েছিল তরুণ প্রজন্মের উন্নতির উপরে আমরা জোর দেব। শুভমন অস্ট্রেলীয় সফরে সফল হয়ে ফিরেছে। আশা করি, এ বারের আইপিএলে ওর আত্মবিশ্বাস অস্ত্র হয়ে উঠবে আমাদের।” সহ-অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের প্রশংসা করতেও ভোলেননি মর্গ্যান। বললেন, “ব্যাট ও গ্লাভস হাতে ডিকে (কার্তিক)-র অবদান ভোলার নয়। সহ-অধিনায়ক হিসেবেও আমাকে সাহায্য করে। মাঠের বাইরেও আমরা ভাল বন্ধু।”

গত বার নেট রানরেট কম থাকায় পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিল কেকেআর। এ বার শুরু থেকেই সেই চিন্তা মাথায় থাকবে মর্গ্যান-বাহিনীর। ওয়ার্নারদের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে মর্গ্যানরা যাত্রা শুরু করতে পারে কি না সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement