বুধবারের ম্যাচে নজর ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকে। —ফাইল চিত্র
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস। বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ যাওয়া শিখর ধবন এবং শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ জিতল তারা। হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারাল দিল্লি। লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রাখলেন ঋষভ পন্থরা।
হায়দরাবাদকে শুরুতেই ধাক্কাটা দিয়েছিলেন এনরিখ নোখিয়ে। প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আইপিএল-এর প্রথম পর্বের খারাপ ছন্দ এখনও পিছন ছাড়েনি অজি ওপেনারের। তিনি ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ১৭ বলে ১৮ রান করেন বাংলার উইকেটরক্ষক। তাঁর উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা।
বুধবারের ম্যাচে নজর ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকে। ইংল্যান্ডে একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি ভারতীয় স্পিনার। সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল তাঁর মধ্যে। টি২০ বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ স্পিনারকে। কিন্তু ২.৫ ওভার বল করে ২২ রান দিলেন অশ্বিন। কোনও উইকেট পেলেন না তিনি। বুধবার নিজের খুব ভাল বিজ্ঞাপন তুলে ধরতে পারলেন না অশ্বিন।
একটি উইকেট যদিও পেতে পারতেন অশ্বিন। তবে ভাগ্য সহায় ছিল কেন উইলিয়ামসনের। উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন অশ্বিনের বলে। এর পর উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলেন পৃথ্বী শ। দু’বার নিশ্চিত ক্যাচ পড়লেও সুবিধা নিতে পারলেন না কিউই অধিনায়ক। ২৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি। অক্ষর পটেলের বলে ক্যাচ দেন হেটমেয়ারের হাতে।
২০ ওভারে ১৩৪ রান করে হায়দরবাদ। লড়াই করার মতো রানে তাদের পৌঁছে দেন আব্দুল সামাদ (২৮ রান) এবং রশিদ খান (২২ রান)। শেষ বেলায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ না হলে আরও লজ্জার স্কোর হতে পারত হায়দরাবাদের।
তবে এই স্বল্প রান নিয়ে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে পারেনি হায়দরাবাদ। পৃথ্বী শ-কে শুরুতে ফিরিয়ে দিলেও ধবন এবং শ্রেয়স ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। ৩৭ বলে ৪২ রান করেন ধবন। তিনি আউট হয়ে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ম্যাচ জেতান শ্রেয়াস এবং পন্থ। শ্রেয়াস অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। ছয় মেরে ম্যাচ জেতান তিনি। আইপিএল-এর প্রথম পর্বে চোটের কারণে ছিলেন না শ্রেয়াস। দ্বিতীয় পর্বে ফিরেই ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন এই ব্যাটসম্যান। টি২০ বিশ্বকাপের দলে প্রথম ১৫ জনের মধ্যে জায়গা হয়নি তাঁর। রিজার্ভ দলে রয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। পন্থ অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।