মরিস জেতালেন রাজস্থানকে। ছবি টুইটার
তাঁকে নিয়ে নিলামের টেবিলে রীতিমতো ঝড় উঠেছিল। কোনও পক্ষই থামতে চাইছিল না। ভেঙে যাচ্ছিল একের পর এক রেকর্ড। আইপিএল-এর ইতিহাসে সব থেকে দামী সেই ক্রিকেটার ক্রিস মরিসই আইপিএল-এর প্রথম জয় এনে দিলেন রাজস্থান রয়্যালসকে। এমন একটি ম্যাচ জেতালেন, যা কার্যত হাতের বাইরেই চলে গিয়েছিল। লড়াই ছিল দুই তরুণ মাথার। সেখানে ঋষভ পন্থকে টেক্কা দিলেন সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থান জিতল ৩ উইকেটে।
দিল্লির শুরুটা কিন্তু একেবারেই ভাল হয়নি। দলের ৩৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান ৪ ব্যাটসম্যান। ছন্দে থাকা পৃথ্বী শ আউট হন ব্যাটের কানায় লেগে গালিতে ক্যাচ দিয়ে। স্লোয়ার বলে ঠকে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন অজিঙ্ক রহাণে এবং মার্কাস স্টয়নিসও। রাজস্থানের হয়ে তখন আগুন ঝরাচ্ছেন জয়দেব উনাদকাট। উল্টো দিকে একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে ঋষভ পন্থ। কিন্তু রিয়ান পরাগের হাতে রান আউট হয়ে ফিরতে হল দুর্ভাগ্যজনক ভাবে। অসমের ক্রিকেটার রিয়ান গত মরসুমে উইকেট নিলেই ‘বিহু’ নাচ করতে শুরু করতেন। বৃহস্পতিবার উইকেট না পেলেও বিপক্ষের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বিহু নাচ করলেন। দেড়শোর গন্ডি পেরোতে পারল না দিল্লি। থামল ১৪৭/৮-এ।
ব্যাট হাতে যতটা বাজে শুরু করেছিল দিল্লি, বল হাতে ততটাই ভাল শুরু করল তারা। ৫০ রানের মধ্যে অর্ধেক ব্যাটিং অর্ডার ফিরে গেল সাজঘরে। মারকুটে জস বাটলার (২) থেকে আগের ম্যাচে শতরানকারী সঞ্জু স্যামসন (৪), কেউ দাঁড়াতে পারলেন না। হাল ধরলেন ডেভিড মিলার, আইপিএল-এ যাঁকে হঠাৎ একদিন ভাল খেলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার বেন স্টোকসের পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন। দিল্লির বোলারদের পিটিয়ে একসময় জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। তবে লোভে পড়ে আবেশ খানকে তৃতীয় ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।
এরপরেই শুরু হয় মরিসের ঝড়। প্রথম দিকে সে ভাবে রান পাচ্ছিলেন না। কিন্তু স্বদেশি রাবাডার ওভারে নিলেন ১৫ রান। শেষ ওভারে পড়েছিল ১২। টম কারেনের এলোমেলো বোলিংয়ে সেটা তুলতে অসুবিধেই হয়নি।