লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামতে মরিয়া এবি ডিভিলিয়ার্স। ফাইল চিত্র
অবসর ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া এবি ডিভিলিয়ার্স। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আচমকা বিদায় জানিয়ে দেন। এরপর তাঁকে আইপিএল ছাড়া আর অন্য কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে দেখা যায়নি। তবে এ বারের আইপিএল-এ দারুণ ছন্দে থাকার পর ফের একবার দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকার পর তাঁর সেই ইচ্ছা আবার জেগে উঠল।
নাইটদের ৩৮ রানে বধ করার পর এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিভিলিয়ার্স বলেন, “আইপিএল খেলতে আসার আগে এই বিষয়ে বাউচির (মার্ক বাউচার) সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমি তো দেশের হয়ে সবসময় খেলতে রাজি। তবে গত কয়েকদিনে ওর সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। আইপিএল শেষ হয়ে গেলে ওর সঙ্গে আবার কথা বলার চেষ্টা করব।” অবশ্য একই সঙ্গে জুড়ে দেন, “আমি চাইলেই তো দলে ঢুকে যেতে পারি না। দল কেমন অবস্থায় আছে সেটাও তো বুঝতে হবে। জাতীয় দলে একাধিক নতুন ছেলে এসেছে। তারা নিজেদের মেলেও ধরেছে। এরপরেও যদি আমার জন্য জায়গা ফাঁকা থাকে তাহলে তো আমি এক পা বাড়িয়ে রেখেছি।”
এই বিষয়ে প্রাক্তন সতীর্থ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান প্রশিক্ষক মার্ক বাউচারের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। বাউচারও কয়েক দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ও আইপিএলে যাওয়ার আগে এই ব্যাপারে কথা হয়। আলোচনা বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। এবি চাইছে আইপিএলে ভাল খেলে বাকি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে যে ও এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ক্ষমতা রাখে। এখনও বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করতে পারে।” বাউচারের সংযোজন, “আমি ওকে বলেছি, ‘যাও, আইপিএলে গিয়ে নিজের কাজ কর। প্রতিযোগিতা শেষের মুখে তোমার সঙ্গে ফের এ নিয়ে কথা বলব।’ এটুকু বলতে পারি, আমরা সবাই ওর সঙ্গে রয়েছি।”
৩৭ বছরের ডিভিলিয়ার্স আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ৪৮ করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে আচমকা অবসর নেওয়ার আগে দেশের হয়ে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি একদিনের ম্যাচ এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।