বাইশ গজে ঝড় তুললেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ছবি - টুইটার
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর। গত আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। তারপর আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক খেলায় তাঁকে দেখা যায়নি। যদিও এতে বিরাট কোহলী চিন্তা করেন না। কারণ বরাবরের মতো এ বারের আইপিএলেও দল কঠিন অবস্থায় পড়লেই বারবার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ফিটনেসের চরমে থাকা এবি ডিভিলিয়ার্স। রবিবার চিপকের কঠিন পিচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধেও সেটাই ঘটল। স্ত্রী ও কোলের কন্যার উপস্থিতিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে শেষের দিকে বাইশ গজে ঝড় তুললেন। ফলে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকার সুবাদে ম্যাচের সেরাও হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর ব্যাটিং পরাক্রমে ৩৮ রানে জিতে হ্যাটট্রিক করে চলতি প্রতিযোগিতায় নজির গড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যদিও ‘টিম ম্যান’ এবি ডিভিলিয়ার্স নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি হলেও সতীর্থ ম্যাক্সওয়েলকে ধন্যবাদ জানালেন।
তাই ম্যাচের শেষে বলছেন, “আজ ভাল ব্যাট করেছি। যদিও পিচ কিন্তু বেশ কঠিন ছিল। তাই ২০০ রান তুলে দেওয়া সম্ভব ছিল না। ১৭০ রান করলেই ম্যাচ জেতা যেত। তবে সত্যি বলতে ম্যাক্সওয়েল আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। এমন জাতের ব্যাটসম্যান সঙ্গে থাকলে আত্মবিশ্বাস এমনিতেই বেড়ে যায়। তাই ওকে ধন্যবাদ।”
প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪৮ রান করলেও গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১ রানে ফিরে যান। সেই শোধ এ দিন সুদে আসলে তুলে নিলেন ডিভিলিয়ার্স। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রান যোগ করেন। এই জুটিতে অজি ব্যাটসম্যান স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেললেও ক্রিজের একদিক আগলে রাখেন এবি। তবে ১৪৮ রানের মাথায় ম্যাক্সওয়েল ফিরতেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন তিনি। কাইল জেমিসনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে তুলে দিলেন ৫৬ রান। মাত্র ৩৪ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস ৯টা চার ও ৩টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল।
অবশ্য পরিবারকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি। বললেন, “জয়ের হ্যাটট্রিক করে অবশ্যই ভাল লাগছে। এত দিন পরে ছন্দে ব্যাট করার জন্যও দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। কারণ পরিবার সঙ্গে ছিল। ওদের সঙ্গে থাকা ও ওদের পাশে থাকাই তো জীবনের সেরা প্রাপ্তি।”