ছবি পিটিআই।
সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ প্রমাণ করে দিয়েছে মাঠে কতটা আগ্রাসী মানসিকতা দেখানো যায়। ঠিক সময়ে ছন্দে ফিরে দাপটে টানা তিনটে জয়ের পরে এই মুহূর্তে ওদেরই সব চেয়ে বিপজ্জনক দল বলে মনে হচ্ছে আমার।
মনে রাখতে হবে, হায়দরাবাদ কিন্তু চোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের ছাড়াই প্লে-অফে উঠেছে। যার মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমারের মতো বোলারও রয়েছে। এক জন সিনিয়র ভারতীয় বোলারকে ছাড়াই আইপিএলের প্রথম চারে পৌঁছনো যথেষ্ট বড় কৃতিত্ব।
হায়দরাবাদের ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে বড় ভূমিকা নিয়েছে ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা। যে মুহূর্তে যে রকম প্রয়োজন, ঠিক সেই ধরনের ক্রিকেট খেলে এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বিপক্ষের জন্য কাঁটা হয়ে উঠছে। ওর ধারাবাহিকতা এবং দুরন্ত স্ট্রাইক রেটের জন্য উল্টো দিকে ওয়ার্নারকে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হতে হচ্ছে না। উইকেটে থিতু হওয়ার সময় পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বুমরার দাপট, দিল্লিকে ৫৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে মুম্বই
মনে হচ্ছে, আরসিবি তাদের দলে কয়েকটা পরিবর্তন করতে পারে। আমার মতে, এ রকম জিততেই হবে পরিস্থিতিতে অ্যারন ফিঞ্চের অভিজ্ঞতাকে ওরা কাজে লাগাতে পারে। সঙ্গে মইন আলিকেও দলে রাখা হতে পারে। মইনের মতো স্পিনার-অলরাউন্ডার শুধু দলে গভীরতা ও ভারসাম্য যোগ করে না, সঙ্গে ডিভিলিয়ার্স-কোহালির চাপও কিছুটা কমাতে পারে। পাশাপাশি, ও দলে থাকলে রশিদ খানকে সামলানোর ব্যাপারটাও কিছুটা সহজ হতে পারে।
দেবদত্ত পাড়িকলও কিন্তু এ বার তরুণ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নজড় কেড়েছে। তবুও আরসিবির সাফল্যের অনেক কিছুই নির্ভর করবে কোহালি এবং ডিভিলিয়ার্সের উপরে। হায়দরাবাদের নিখুঁত বোলিং আরসিবির ব্যাটসম্যানরা কতটা সামলাতে পারছে সেটাই বড় আকর্ষণ এই ম্যাচে।
আরও পড়ুন: অনুষ্কাকে পাশে নিয়ে জন্মদিন উদযাপন কোহালির
ঋদ্ধি-ওয়ার্নার জুটি দু’দিকে ধারালো তলোয়ারের মতো। যদি এ রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই জুটি সফল না হয়, তা হলে কিন্তু ওদের অনভিজ্ঞ টপ অর্ডারের কাছে কঠিন পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে। তবে প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নরা এই মুহূর্তে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। অন্য দিকে শুরুটা দুর্দান্ত করলেও কোহালির দল ছন্দ হারানোর উত্তর খুঁজছে।
এ রকম একটা লড়াইয়ে কে জিতবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। কোনও সন্দেহ নেই, দুরন্ত লড়াই হবে এই ম্যাচে। হয়তো ছন্দে থাকার জন্য হায়দরাবাদ কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। তবে কয়েক ওভারের মধ্যেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি কিন্তু আমরা আগেও দেখেছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ম্যাচটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। চাই আজ, শুক্রবার, সেরা দলই জিতুক। (টিসিএম)