কেকেআর হারলেই বোতল ছুড়ে মারেন শ্বেতা। —নিজস্ব চিত্র।
যেখানেই আনন্দ, উত্তেজনা সেখানেই ‘যমুনা’ শ্বেতা ভট্টাচার্য। দুর্গা পুজোর মতোই আইপিএল-ও ‘উৎসব’ তাঁর কাছে। কী করেন টি টোয়েন্টি খেলার সময়? ‘চূড়ান্ত টেনশন। হৃদস্পন্দন বেড়ে দ্বিগুণ। দুই দাদা, দুই বউদি, আমার এক বন্ধু আর মা-বাবা বসে পড়ি টিভির সামনে। খেলা এগোয় আমাদের উত্তেজনা বাড়ে।’’
বিশাল বাহিনি নিয়ে খেলা দেখা! না হলে আনন্দ কীসের! শ্বেতা বলছেন, ‘‘জিতলে আনন্দের জোয়ার। হারলে দুঃখ ভাগাভাগি। তবে আমরা শুধু কেকেআর-এর ম্যাচগুলোই দেখি। অন্য দলের কী অবস্থা হল? জানার আগ্রহই খুঁজে পাই না।’’
কেকেআরের অন্ধ সমর্থক যদিও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ভীষণ ক্ষুণ্ণ। সাফ জানালেন, ‘‘সপরিবারে সমর্থন করি। আর প্রতি বছর দল হারে। কী দুঃখের ব্যাপার!’’ তাহলে কি দল বদল করবেন এ বছর? তাতেও সায় নেই শ্বেতার। প্রতিবারের মতোই এবারেও ম্যাচ দেখবেন চিপস আর কোল্ড ড্রিংকস খেতে খেতে। হারের পর প্রতি বছর খালি বোতল ছুড়ে মারেন স্ক্রিনে। তাই আন্তরিক প্রার্থনা, এ বছর যেন এই দৃশ্যের রিপিট টেলিকাস্ট না হয়!
আরও পড়ুন: ছক্কা মারলে টিভির সামনেই চেঁচাব, ঘরেই ক্রিকেটের আঁচ নেবেন শ্রাবন্তী
প্রতি বছরের হারের দুঃখে আফসোস শ্বেতার, ‘‘একেক সময় ধন্দ জাগে, টাকা খেয়ে প্রতিবার ইচ্ছে করে হেরে যায় না তো কেকেআর?’’