বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
ফের বিতর্কে সঞ্জয় মঞ্জরেকর। এ বার চেন্নাই সুপার কিংসের অম্বাতি রায়ুডু ও পীযূষ চাওলাকে ‘প্রেটি লো প্রোফাইল’ ক্রিকেটার হিসেবে চিহ্নিত করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
শনিবার আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের পর টুইটে মঞ্জরেকর লেখেন, “খুব খুশি দুই খুবই লো প্রোফাইল ক্রিকেটার পীযূষ চাওলা ও অম্বাতি রায়ুডুর জন্য। চাওলা চমৎকার বল করেছে। পঞ্চম ও ১৬তম ওভারেও বল করেছে। রায়ুডু শটের বিচারে আইপিএল কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলল। ওয়েল ডান সিএসকে!”
আর এখানে ‘প্রেটি লো প্রোফাইল’ শব্দগুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একজন টুইট করেছেন, “অম্বাতি রায়ুডু আর লো প্রোফাইল।” সঙ্গে রয়েছে হাসির ইমোজি। আর একজন লিখেছেন, “লো প্রোফাইল???? সত্যিই? কে এই প্রোফাইলগুলো ঠিক করেন?”
আরও পড়ুন: ‘হাউ হ্যান্ডসাম!’ উদ্বোধনী ম্যাচে ধোনির এমন প্রশংসা কার!
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে এই ক্রিকেটারের নাম করলেন গাওস্কর
রয়েছে পরামর্শও। একজন যেমন তা দিয়ে লিখেছেন, “ডিয়ার সঞ্জয়, তোমার ‘আন্ডাররেটেড’ শব্দটা ব্যবহার করা উচিত ছিল। আগামী দিনে দয়া করে সঠিক শব্দ বেছে নিও।” একমত আর একজন, “লো প্রোফাইল নয়, আন্ডাররেটেড হল সঠিক শব্দ।” ধিক্কারের ভঙ্গিতে একজন লিখেছেন, “বিশ্বকাপ জয়ী দলের এক সদস্যের প্রোফাইলকে লো বলছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর।”
এর আগেও বার বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। গত বছরের বিশ্বকাপে তিনি রবীন্দ্র জাডেজাকে ‘বিটস অ্যান্ড পিসেস’ ক্রিকেটার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন জাডেজা। গত বছরের নভেম্বরে ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ই পাশে থাকা হর্ষ ভোগলের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ভোগলে তো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বা লিস্ট এ ক্রিকেটও খেলেননি। মার্চে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ধারাভাষ্যকারদের তালিকা থেকে বাদ দেয় মঞ্জরেকরের নাম। আইপিএলেও ধারাভাষ্যকার হিসেবে ফেরানো হয়নি তাঁকে। তবে আইপিএলের উদ্বোধনী দিনেই ফের বিতর্কে তিনি। কারণ, চাওলা ২০০৭ ও ২০১১ সালের যথাক্রমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। আর, রায়ুডু খেলেছেন ৫৫ ওয়ানডে। তাই তাঁদের ‘লো প্রোফাইল’ বলা মানতে পারছেন না নেটাগরিকরা।