ছবি পিটিআই।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সব চেয়ে উত্তেজনাময়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে হয়তো আইপিএল এগিয়ে থাকবে। যদি কেউ এমন বলেন, তা হলে ঠিকই বলছেন।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে এখনও সাতটা দল ১৪ পয়েন্টে শেষ করে প্লে-অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে পারে। যে কোনও দিন, যে কোনও দল জেতার ক্ষমতা রাখে, তা সে সামনে যে-ই থাকুক। আর বিশ্বের কোটি কোটি দর্শক আশা করেন ফের অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর পয়েন্ট টেবলে এখন উপরের দিকে রয়েছে। তবে তিনটে দলই কিন্তু সদ্য হারের মুখে পড়েছে। তবুও এই তিনটে দলই জানে লিগ পর্যায়ের শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটি জিততে পারলেই প্লে-অফের দরজা খুলে যাওয়া উচিত।
এটা হল প্রথম লক্ষ্য। এর পরে দ্বিতীয় লক্ষ্য লিগ পর্যায়ে বাকি থাকা ম্যাচের মধ্যে আরও জয় পেয়ে প্রথম দুই স্থানে শেষ করা। যাতে ২০২০ আইপিএল ফাইনালে যাওয়ার একটি নয়, দুটি সুযোগ পাওয়া যায়।
তবে কোনও লক্ষ্যই সহজ নয়। আমরা মানে আরসিবি বুধবার মুখোমুখি হব মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। তার পরে শনিবার আমাদের সামনে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ। আমাদের লিগ পর্যায় শেষ হবে সোমবার আবু ধাবিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে লড়াই দিয়ে। মনে হচ্ছে, এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে হলে প্রথমে মুম্বই আর দিল্লি দুটো দলকেই আমাদের হারাতে হবে, তার পরে এদের মধ্যে একটা দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার জিততে হবে। সেটা পারলে প্রথম বার
আমরা খেতাব নিয়ে ফিরব।
তবে ছবিটা এ রকম না-ও হতে পারে। প্রত্যেকটা দলেই কিন্তু বিশ্বমানের ক্রিকেটারেরা রয়েছে। যারা যে কোনও ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা ধরে। তাই কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, কেকেআর, রাজস্থান রয়্যালস বা সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের মধ্যে যে কেউ ঠিক সময়ে জ্বলে উঠে ফাইনালে যেতে পারে। এটা আইপিএল। এখানে সব কিছুই সম্ভব।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কথাই ধরা যাক। প্রথম সাতটা ম্যাচের ছ’টা ওরা হেরেছিল। দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়ার মুখে চলে এসেছিল। এখন দেখুন, টানা পাঁচটা ম্যাচ জিতে, দুরন্ত ক্রিকেট খেলে ফের প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে ফিরে এসেছে। জেতার ধারাবাহিকতা তৈরি করেছে। ছন্দে চলে এসেছে। সিটবেল্ট বেঁধে ফেলুন, রোলারকোস্টারে চড়া শুরু। (টিসিএম)
আত্মবিশ্বাসী বুমরা: কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে আজ, বুধবার দ্বৈরথ। যশপ্রীত বুমরা বলছেন, বেন স্টোকসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ধাক্কা খেলেও মানসিকতা পাল্টানোর দরকার নেই। ‘‘একটা দিন দিয়ে বিচার করা যায় না। আমাদের বোলাররা বেশ ভাল। ট্রেন্ট বোল্ট, জেমন প্যাটিনসন, নেথান কুল্টার-নাইল। ওদের সঙ্গে বল করা উপভোগ করি,’’ বলছেন বুমরা।