ছবি সংগৃহীত।
এ বারেই শুরু হতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। আগামী আট দিনে চারটি ম্যাচ আইপিএলে আমাদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ভাগ্য গড়ে দিয়ে যেতে পারে।
আমরা ভালই শুরু করেছি। প্রথম পাঁচটা ম্যাচের মধ্যে তিনটে জিতেছি। পাশাপাশি, এটাও জানি যে, আরও ভাল খেলার ক্ষমতা আমাদের আছে। ব্যাট-বলে আরও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারি আমরা। আজ, শনিবার, দুবাইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলছি আমরা। ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের টিম সুপারস্টারে ভর্তি। তবে আমরা এই ম্যাচটাকে আইপিএলে নিজেদের সম্পর্কে বার্তা দেওয়ার জন্য একটা সুযোগ হিসেবেও দেখছি। যদি আমরা সব কিছু ঠিকঠাক করতে পারি, সব বিভাগে সেরাটা বার করে আনতে পারি, তা হলে শুধু এই ম্যাচটা বার করাই নয়, আগামী কয়েক দিনের উদ্যমও তৈরি করে নেওয়া যাবে।
এই আট দিনের পর্বটাতে কিন্তু ধারাবাহিকতাই আসল হতে যাচ্ছে। কখনও আমাদের ব্যাটিং খারাপ হচ্ছে। কখনও বোলিং আশানুরূপ হয়নি। আবার ফিল্ডিংও মাঝেমধ্যে খারাপ হয়েছে। প্রচুর ক্যাচ ফেলেছি। যদি সিএসকে-কে হারাতে হয়, যদি এই টুর্নামেন্টে আমরা ভাল কিছু করার স্বপ্ন দেখি, তা হলে কিন্তু সব বিভাগেই ধারাবাহিক ভাবে ভাল করতে হবে। এ সব ভুল করা চলবে না। কিছু কিছু ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে শিশিরের প্রভাব খুব বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। তখন বলটা একদম ভিজে যাচ্ছে, হাত থেকে পিছলে যাচ্ছে। বোলাররা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে, খুব বেশি ফুলটস পড়ে যাচ্ছে। ফিল্ডারদের কাছে যেটা খুব সহজ ক্যাচ হতে পারত, সেটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি এটুকু বলতে পারি যে, টিভিতে দেখে যতটা সহজ মনে হয়, মাঠে দাঁড়িয়ে কাজটা কিন্তু অত সহজ নয়। কখনও কখনও মনে হতে পারে একটা ভিজে সাবান ধরতে যাচ্ছি। একটাই প্রভাব থাকতে পারে শিশিরের। এই কারণেই শিশির থাকতে পারে বুঝলেই প্রথমে ফিল্ডিং করতে চাইছে দলগুলি। আমরা সে রকমই করছিলাম। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কাজে দেয়নি। দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ১৯৬ তুলে দিল, তা পরে শিশিরের ভূমিকা সে ভাবে দেখাও গেল না। ব্যাটিং চাপে পড়ে গেল আর আমরা হেরে গেলাম ৫৯ রানে। সহজ নয় কিন্তু এটাই আইপিএল। দেখতে দারুণ লাগে কিন্তু জেতা খুব কঠিন।
ভারতীয় বোর্ডের খুব প্রশংসা প্রাপ্য এ রকম একটা টুর্নামেন্ট ক্রিকেট বিশ্বকে উপহার দেওয়ার জন্য। আইপিএল এখন যে কোনও খেলার ক্ষেত্রেই একটা উদাহরণ। এমন বিনোদন, এত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, এই টানটান উত্তেজনা আর কোন টুর্নামেন্টে দেখা যায়? যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে। আটটা দলের প্রত্যেককে শক্তিশালী মনে হয়। প্রত্যেকটা দলে একাধিক ম্যাচউইনার রয়েছে। সারা বিশ্বে এবং ভারতে যখন এত মানুষ অতিমারির এই কঠিন সময়ে চাপের মধ্যে রয়েছেন, তখন আইপিএল আশা আর উত্তেজনা সরবরাহ করতে পারে। এই আইপিএলের অংশ হওয়াটাই তাই আমার কাছে একটা প্রাপ্তি। (টিসিএম)