শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
চেষ্টা চালিয়ে গেলেন শেষ পর্যন্ত। কয়েক বছর আগে হলে হয়তো শেষ ওভারে তরুণ আব্দুল সামাদের বলগুলো মাঠের বাইরেই পাঠাতেন। ছিনিয়ে আনতেন জয়। ধোনির জন্য সর্বত্র উঠত ‘জয়ধ্বনি’।
আজ তিনি অস্তমিত সূর্য। আগের সেই তেজ আর নেই। তার উপরে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিন্দুকরা নখ-দাঁত বের করছেন। এক সময়ের সেরা ‘ফিনিশার’ সব সমালোচনাকে মাঠের বাইরে ছুড়ে ফেলবেন বলে ধরেই নিয়েছিলেন সবাই। শুক্রবার দুবাইয়ের প্রবল গরমে নিঃশেষিত হয়ে গেলেন ঝাড়খণ্ডের ‘সিংহ’।
১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে একে একে সবাই যখন ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন, প্রিয় রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়লেন ধোনি। সামাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে জাড্ডু যখন ফিরছেন, ধোনিও বোধহয় ভারতের সেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল হারের রিপ্লে চালিয়ে ফেলেছিলেন মনে মনে। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওভারের মাঝে বার বার জল, ব্যাট বদল করে দম নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, যাতে শট নেওয়ার সময় জোর পান। কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েৎ হল না।
আরও পড়ুন: ধোনি-ওয়ার্নারদের মঞ্চে আলো ছড়ালেন তরুণ প্রিয়ম
ম্যাচ শেষে স্বীকার করে নিলেন ঠিক মতো ব্যাটে বলে হচ্ছিল না আজ। নিজের ফর্মের থেকেও পীড়া দিচ্ছিল দলের লাগাতার হার। বলেই ফেললেন, “পর পর তিন ম্যাচ শেষ কবে হেরেছি মনে পড়ছে না। একই ভুল বারবার করেই চলেছি আমরা। ঠিক যে ভাবে খেলতে চেয়েছি পারিনি। ব্যাট করার সময়ে প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে আসছিল। চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ব্যাটে বলে হচ্ছিল না কিছুতেই।” কথাগুলো যখন বলছিলেন, বড্ড অসহায় শোনাচ্ছিল ধোনিকে।
আরও পড়ুন: হারের হ্যাটট্রিক চেন্নাইয়ের, ফিনিশার ধোনিকে দেখা গেল না দুবাইয়ে