সুপারনোভাস ক্রিকেটারদের এই হাসি শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া।
জয় দিয়ে টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ শুরু করল ভেলোসিটি। বুধবার মিতালি রাজের দল ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে সুপারনোভাস তোলে ৮ উইকেটে ১২৬ রান। হরমনপ্রীত, আটাপাট্টুরা একসময়ে যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল ১৪০ করে ফেলবে তাঁরা। কিন্তু ভেলোসিটির বোলাররা নিয়মিত উইকেট নিয়ে সুপারনোভাসকে আরও কম রানে আটকে রাখে।
রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে আউট হন ভেলোসিটির ওপেনার ড্যানি ওয়্যাট। খাতাই খোলেননি তিনি। অথচ তিনিই ছিলেন দলের ব্যাটিং স্তম্ভ। মারকুটে ব্যাটিং করার জন্য বিখ্যাত শেফালি ভার্মা। ১১ বলে ১৭ রান করেন তিনি। মিতালি রাজ আউট হন মাত্র ৭ রানে। ১৯ বল খেলে ফেলেছিলেন। রান আসছিল না। ফলে চাপ বাড়ছিল তাঁর উপরে। সিরিবর্ধনেকে মারতে গিয়ে মিতালি ধরা পড়েন মিড উইকেটে। কৃষ্ণমূর্তি দ্রুত ২৮ বলে ২৯ রান করে যান। এর পরে সুষমা ভার্মা ও সুনে লুজ ৫১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। পুণম যাদবকে মারতে গিয়ে আউট হন সুষমা ভার্মা (৩৪)। শেষ ২ ওভারে জেতার জন্য ভেলোসিটির দরকার ছিল ১৫ রান। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ফিরতে হয় সুষমাকে। সুনে লুজ (অপরাজিত ৩৭) শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থেকে দলকে জেতান।
বুধবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভেলোসিটি। দুই ওপেনার প্রিয়া পুনিয়া ও আটাপাট্টু শুরুটা ভালই করেছিলেন। ৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৩০ রান ওঠার পরে প্রিয়া পুনিয়াকে (১১) আউট করেন কাসপেরেক।
শ্রীলঙ্কার আটাপাট্টু (৪৪) দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করছিলেন। দ্রুত গতিতেই রান তুলছিলেন তিনি। জাহানারা আলমকে মারতে গিয়ে কৃষ্ণমূর্তির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। জেমাইমা রডরিগজ তিন নম্বরে নেমে বড় রান পাননি। ব্যক্তিগত ৭ রানে জেমাইমাকে বোল্ড করেন একতা বিস্ত। হরমনপ্রীত ২৭ বলে ৩১ রানে আউট হন জাহানারা আলমের বলে। খুব সহজে রান তুলছিলেন হরমনপ্রীত। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল ব্যাট করা খুবই সহজ। হরমনপ্রীত আউট হওয়ার পরে দ্রুত উইকেট যায় সুপারনোভাসের। শশীকলা (১৮), পুজা (০), রাধা যাদব (২), শাকিরা (৫) রুখে দাঁড়াতে পারেননি। দ্রুত উইকেট হারানোর ফলে সুপারনোভাস বড় রান করতে পারল না। সেই রান তাড়া করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ভেলোসিটি।
won the toss and they will bowl first against #Supernovas#JioWomensT20Challenge pic.twitter.com/xOQleMadY2