কলকাতার কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মতে কামিন্সই বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে এমন বিশেষজ্ঞ পেসারের সংখ্যা মাত্র দুই! অবধারিত ভাবেই তাঁরা প্যাট কামিন্স ও লকি ফার্গুসন। কিন্তু বাকি পেস বোলিং বিভাগে দূরবীন দিয়েও চোখে পড়ছে না অভিজ্ঞতার ছিটেফোঁটা। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, শিবম মাভি, কমলেশ নাগারকোটি, সন্দীপ ওয়ারিয়ররা যত প্রতিশ্রুতিবানই হোন, কোটিপতি লিগের প্রবল চাপ আর টেনশন সামলে উঠতে পারবেন তো? সংশয় থাকছেই। সেই কারণেই মরুভূমির দেশে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিংই চিহ্নিত হচ্ছে দুর্বলতা হিসেবে।
ভারতীয় পেসারদের অনভিজ্ঞতা ডোবাবে না তো দীনেশ কার্তিকের দলকে? শনিবার আমিরশাহিতে নাইটদের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামকে এই প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
ম্যাকালামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কি মনে করেন কেকেআরের পেস বোলিংয়ে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে? আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনও ভারতীয় পেসারই নেই দলে? জবাবে ম্যাকালাম বলেন, “হ্যাঁ। কাগজকলমে ইন্ডিয়ান বোলারদের লাইন আপকে অনভিজ্ঞই দেখাচ্ছে। অন্তত ম্যাচের সংখ্যা অনুযায়ী। তবে এদের অবিশ্বাস্য প্রতিভা রয়েছে। সকলেই ঘন্টায় ১৪০ কিমির বেশি গতিতে বল করতে পারে। ওরা খুব খাটাখাটনিও করেছে। সকলেই প্রতিযোগিতা চলাকালীন কখনও না কখনও সুযোগ পাবে। আর ওরা সকলেই স্কিলের দিক দিয়ে একে অন্যের চেয়ে আলাদা। যা ট্যাকটিক্সের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ওদের ব্যবহার করতে পারব। আমার তো মনে হয়, আমাদের বোলিং লাইন আপে কয়েকজন তারকা হওয়ার অপেক্ষায়।”
আরও পড়ুন: এ বার কি আইপিএলে চার-ছয় কমবে? তেমনই প্রশ্ন উঠছে তিন স্টেডিয়াম দেখে
আরও পড়ুন: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ক্রিকেট মাঠে, ধোনির দিকে তাকিয়ে ভক্তরা
সে ক্ষেত্রে প্যাট কামিন্সের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে? কোচের উত্তর, “কামিন্স হল আমাদের বোলিংয়ের চাবিকাঠি। ওর গতি, অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা কাজে আসবে। শুরুতে উইকেট নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে ওর। সেদিকেও তাকিয়ে থাকব আমরা। সেটা করতে পারলে তার পর দক্ষ স্পিনাররা আসরে নেমে পড়বে। সব ঠিকঠাক হলে আমাদের বোলিং যে কোনও দলের মহড়া নিতে পারে। বিশেষ করে এই ধরনের উইকেটে তো বটেই।”
তবে নাইট কোচ স্পিন বিভাগের দিকে তাকানোর কথা বললেও সমস্যা সেখানেও। সুনীল নারিনের রহস্য বাদ দিলে কুলদীপ যাদবই ভরসা। কিন্তু তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ‘চায়নাম্যান’ মেজাজে থাকলে স্বস্তি। নইলে বরুণ চক্রবর্তীর লেগব্রেক, নীতীশ রানার অফব্রেকের দিকে তাকাতে হবে। অনভিজ্ঞতা কিন্তু সেখানেও!