ছবি: পিটিআই।
আইপিএলে ঝড় তুলে দিয়েছে কে এল রাহুল। এবং, এই ঝড় তুলতে ওকে কিন্তু কোনও দানবিক শক্তির সাহায্য নিতে হয়নি। নিখুঁত টাইমিং এবং ক্রিকেটীয় শটের সাহায্যে রান পেয়ে যাচ্ছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক। সত্যি বলতে কী, এই ধরনের ব্যাটিং করে রাহুল যেন আমাদের কয়েক দশক আগে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এ বারের আইপিএলে কয়েকটা ম্যাচে জেতার খুব কাছে এসে হেরেছে পঞ্জাব। তবে প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওরা কিন্তু ভয়ঙ্কর একটা দল হয়ে উঠছে। আমি জানি, কয়েকটা ম্যাচ শেষ করতে না পারার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে রাহুল। কিন্তু ওর উপরে খুব বেশি কঠোর হওয়া যায় না। অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব সামলাচ্ছে রাহুল। তার পরেও নয় ইনিংসে ৫২৫ রান করেছে, স্ট্রাইক রেট ১৩৬।
আমার দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আমি যে কোনও সময় এই রানটা লুফে নেব। পাশাপাশি রাহুল কিপিং করছে, দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছে। পঞ্জাব ব্যাটিংয়ের শুরুতে রয়েছে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, ক্রিস গেল, নিকোলাস পুরান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কাগজে-কলমে আইপিএলের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইন।
আরও পড়ুন: মুক্ত নারাইনকে দলে ফেরানোর প্রস্তুতি নাইটদের
তাই রাহুলকে একা দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং রাহুল এ রকম খেলছে বলে বাকি ব্যাটসম্যানরা অনেক খোলা মনে ব্যাট করতে পারছে। পঞ্জাবের ভাল না খেলার পিছনে আরও একটা কারণ ছিল। বোলিংটা ঠিকমতো গুছিয়ে নিতে না পারা। এখন ওরা সেরা বোলারদেরই খেলাচ্ছে। এই দলটা যদি শেষ চারে পৌঁছে যায়, তা হলে কিন্তু অবাক হব না।
দিল্লি ক্যাপিটালস আবার টেবলের এক নম্বর জায়গাটা ভালমতোই ধরে রেখেছে। ওদের বোলিং আক্রমণের ভারসাম্যটা দারুণ। আনরিখ নোখিয়া এবং কাগিসো রাবাডা বুঝিয়ে দিয়েছে গতির কোনও বিকল্প হয় না। তা যে ধরনের ক্রিকেটেই হোক না কেন। এর সঙ্গে দু’জন ক্ষুরধার স্পিনারও আছে দিল্লিতে। আর অশ্বিন এবং অক্ষর পটেল। সব মিলিয়ে দিল্লির বোলিংটা দুর্দান্ত। দিল্লির ব্যাটিংটা আবার বড্ড বেশি শ্রেয়স আয়ার এবং শিখর ধওয়নের উপরে নির্ভরশীল। যা কিন্তু প্লে-অফে সমস্যা করতে পারে। মঙ্গলবার দিল্লি বনাম পঞ্জাব ম্যাচটা কিন্তু খুব উত্তেজক হবে বলেই মনে হয়।
আরও পড়ুন: ধোনির ব্যক্তিগত রেকর্ডের দিনে এ বারের আইপিএলে লজ্জার রেকর্ড চেন্নাইয়ের
একটা দল এখনও প্লে-অফে নিজেদের জায়গা পাকা করতে পারেনি। অন্য দলটা কিছুতেই আশা ছাড়ছে না, লড়াইও নয়। একটা শক্তিশালী টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে দারুণ বোলিং আক্রমণের লড়াই। আইপিএলের জৌলুস নিঃসন্দেহে বেড়ে যাবে।