এ বারের আইপিএলে খোঁজ মিলল এক নতুন ঈশানের। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
আইপিএল ২০২০ স্মরণীয় হয়ে থাকবে ঈশান কিষাণের কাছে। যে আইপিএলে ব্যর্থ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সেই মঞ্চই যেন চিনিয়ে দিল নতুন তারাকে। সারা হাতে ট্যাটু নিয়ে, ছোটখাটো চেহারার ঈশানকে দেখে মনেই হয় না তাঁর ব্যাট এত নৃশংস হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানের বোলারদের অবলীলায় মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন এ বারের টুর্নামেন্টে। ওপেন করতে নেমে দলকে নির্ভরতা দিয়েছেন আবার মিডল অর্ডারে নেমেও দলকে জেতানোর পিছনে অবদান রেখেছেন ধোনির পরামর্শে বদলে যাওয়া ঈশান কিষাণ।
২০১৬ সালে প্রথমবার আইপিএলের বিশ্ব শুনেছিল ঈশান কিষাণের নাম। এ বার তাঁর ব্যাট কথা বলল। ১৪ ম্যাচে করেন ৫১৬ রান। পরিণত এক ব্যাটসম্যানকে খুঁজে পেয়েছে মুম্বই। অথচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৯৯ রানে আউট হয়ে তিনিই হয়ে গিয়েছিলেন ট্র্যাজিক নায়ক। সেই ম্যাচ সুপার ওভারে জিতে নিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। তাঁর সামান্য ভুলেই সে দিন ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। তার প্রায়শ্চিত্ত ঈশান কিষাণ করেছেন টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয়।
ফাইনালেও ম্যাচ জিতিয়ে তবেই ফিরলেন এই ‘পকেট ডায়নামো’। অথচ ফিল্ডিং করার সময়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাতে চোট পেয়েছিলেন। ফিল্ডিং করতে আর পারেননি। অথচ ব্যাট হাতে যখন খেললেন রাবাদাদের, তখন তাঁকে দেখে কে বলবে হাতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ভবিষ্যতের তারকা তিনি। কায়রন পোলার্ড, ট্রেন্ট বোল্ট, কুইন্টন ডি ককের মতো তারকাদের পাশে থাকার সুফল যে পাবেন আগামী দিনে, তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: তেরো, পনেরো, সতেরো, উনিশ, কুড়ি! পাঁচ বার আইপিএল জয় মুম্বইয়ের, পাঁচ বারই ক্যাপ্টেন রোহিত
কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন এ বারের টুর্নামেন্টের জন্য? ঈশান বলেন,“ফিটনেস নিয়ে অনেক বেশি খেটেছি। সেটাই আমাকে আলাদা করে দিয়েছে অন্যান্য বারের থেকে।” সতীর্থ ক্রুনাল পান্ড্য বলছিলেন, “শেখার ইচ্ছে অন্যদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে ঈশানকে।”
ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু এ বারের আইপিএলে তিনিই যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা আবিষ্কার তা বলা যায় নিঃসন্দেহে। আইপিএল ২০২০ দেখাল পরিণত হয়ে উঠেছেন ঈশান। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার জন্য নয়, তাঁর চোখে রয়েছে আরও বড় স্বপ্ন। আরও বড় মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই স্বপ্ন সত্যি করতেই ছুটে চলেছেন ধোনি ভক্ত ঈশান।
আরও পড়ুন: ফাইনালে ফের হাফ সেঞ্চুরি, দলের সঙ্গে নজির গড়লেন রোহিতও