মহড়া: জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে বিরাটদের। ছবি: টুইটার।
দু’বার ফাইনালে পৌঁছেও ট্রফি তোলা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। বিরাট কোহালিরা শেষ ফাইনাল খেলেন ২০১৬ সালে। সে বার আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে ছিলেন বিরাট। পেয়েছিলেন চারটি সেঞ্চুরি। তাঁর দলও প্রতিযোগিতা জুড়ে দারুণ ছন্দে ছিল। চার বছর আগের সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন বিরাট। ২০১৬-র সেই দলে প্রত্যেকে যে রকম চাপমুক্ত থেকে নিজেদের মাঠে উজাড় করে দিয়েছিলেন, বিরাট মনে করেন এ বারও সে রকম কিছু দেখতে পাওয়া যেতে পারে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ইউটিউব চ্যানেলে এসে বিরাট বলেছেন, ‘‘২০১৬-র আরসিবি দলের সদস্য হিসেবে প্রত্যেকে এই পরিবেশকে উপভোগ করেছি। সে বারের দলে বোঝাপড়া ও ভারসাম্য খুব ভাল ছিল। চার বছর আগের সেই দলের সঙ্গে এই দলের কিছুটা মিল খুঁজে পাচ্ছি। বর্তমান দলের ভারসাম্যও খুব ভাল।’’
কোহালি ও এবি ডিভিলিয়ার্স, দু’জনেই মনে করেন, এই মরসুমে অধরা ট্রফি আসতে পারে আরসিবি ড্রেসিংরুমে। অধিনায়কের কথায়, ‘‘কোনও আইপিএলের আগে এত স্বস্তিবোধ করিনি। এবিও খুব ঠান্ডা মাথায় মরসুম শুরু করবে। এত দিন বিশ্রাম পেয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ওকে আরও ফুরফুরে দেখাচ্ছে। নিজেও উপলব্ধি করছি, আগের চেয়ে কতটা ভাল জায়গায় রয়েছি। অনেক বেশি তরতাজা। এত বছর কী ভাবে খেলেছি, কী পেয়েছি, সে সব ভাবা ছেড়ে দিয়েছি।’’
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একেবারে নতুন আঙ্গিকে আরসিবি-র হয়ে যাত্রা শুরু করতে চান বিরাট। আগের সব ব্যর্থতা মুছে নতুন ভাবে দল গড়ে তুলবেন। তাঁদের শিবিরে অ্যারন ফিঞ্চ, ক্রিস মরিসের মতো তারকা যোগ দেওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে অধিনায়কের। বিরাট বললেন, ‘‘মরিস দলকে আরও তরতাজা করে তুলবে। ফিঞ্চ এমন একজন ক্রিকেটার যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আছে। তরুণ উইকেটকিপার জশ ফিলিপের মতো তরুণ প্রতিভাও নজর কেড়েছে অনুশীলনে।’’
ক্রিকেটবিশ্বের পাশাপাশি কোহালি জনপ্রিয় খেলাধুলার বিশ্বব্যাপী জগতে। তিনি যা-ই করেন, মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েক দিন আগে কোহালির ফুটবল খেলার ছবি দেখে প্রশংসা করেন ইংল্যান্ড ফুটবল দলের অধিনায়ক হ্যারি কেন। লেখেন, ‘‘টেকনিকে একেবারে নিখুঁত।’’ বিরাটের জবাব, ‘‘নিশ্চয়ই মন দিয়ে পুরোটা লক্ষ্য করেছো। ধন্যবাদ কেন।’’