অভিষেক বসু। —নিজস্ব চিত্র।
স্বপ্ন দেখতেন পুরো জীবনটাই ব্যাট-প্যাডে মোড়া হবে। প্রথম ভালবাসা ক্রিকেট। পরে সেখান থেকে চলে এলেন ড্রাম বাজানো, গান, আঁকা শেখায়। এবং সেই সূত্রে অভিনেতা ‘নেতাজি’ অভিষেক বসু। যদিও কলেজ পর্যন্ত ২২ গজ সঙ্গে ছিল।
এখন সেই ফাঁক ভরাট করে আইপিএল? উত্তরে উত্তেজনা, শুধু আইপিএল নয়, ‘‘কোনও খেলাই মিস করি না। তবে এই মুহূর্তের টাটকা অক্সিজেন এই খেলা।’’ সঙ্গে হতাশাও, প্রতি বছর তিনি মাঠে গেলেও মায়ের কোনও দিন এই শখ পূরণ হয়নি। ভেবেছিলেন, ২০২০-তে সেই শখ পূরণ করবেন। করোনা সে আশায় জল ঢেলেছে।
অভিষেকের দাবি, ক্রিকেটের প্রতি এই নেশা তাঁর একার নয়। প্রতি বছর আইপিএলের সময় ধারাবাহিকের ক্রেজ নাকি সাময়িক অস্তমিত! সমস্ত দর্শক বুঁদ ২০ ওভারের খেলায়। অন্ধ ভক্ত মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। ওঁর জন্যেই আইপিএল খেলা দেখেন, সাফ জানালেন। অবশ্যই সমর্থন করেন কেকেআরকে। সঙ্গে দুঃখও, ‘‘কলকাতা নাইট রাইডার্স অথচ কলকাতার একজন ক্রিকেটার নেই! দলে কোনও বাঙালি মুখও দেখা যায় না। ভীষণ খারাপ লাগে।’’
আরও পড়ুন: ‘কেকেআর-এ কলকাতার ক্রিকেটার কই?’ প্রশ্নে ‘নেতাজি’ অভিষেক বসু
অভিষেকের মতে, প্রতিভার অভাব না প্রোগ্রামিংয়ের খামতি, জানা নেই। ঋদ্ধিমান সাহা, অশোক দিন্দা, দেবব্রত দাস কয়েক বছর আগেও ভাল খেললেন। তাঁদের সবাইকে আর দেখা যায় না! টেস্ট থেকে ওয়ানডে হয়ে ক্রিকেটের হালফিল রূপ টি টোয়েন্টি। দর্শক হিসেবে কোন রূপ বেশি পছন্দের? ‘‘তিন রকমের খেলার তিন রূপ। তবে সবচেয়ে পছন্দ টেস্ট ক্রিকেট। এখানে আসল বুদ্ধিমত্তা ধরা পড়ে। আইপিএল বিনোদনের মোড়কে ঝকঝকে। ব্যবসার জন্য এর জুড়িদার নেই। তবে এই খেলায় যিনি ৮০ বা ১০০ করেন তিনি টেস্টে ২০ রানও অনেক সময় করতে পারেন না।’’
মাত্র দু’বার জিতেছে পছন্দের দল কেকেআর। হেরেছে ক্রমাগত। দায় কার? ব্যঙ্গের ঝাঁঝ উত্তরে, ‘‘কলকাতা টিম এখন শাহরুখ খান টিম। তিনিই ভাল বলতে পারবেন কেন এই টানা অবনতি।’’ দর্শক হিসেবে অভিষেক মনে করেন, কেকেআর কোনও দিন বিপরীতে খেলতে আসা দলের উপর চার তৈরি করতে পারেনি। যার জন্যেই সম্ভবত পুওর পারফরম্যান্স।