KKR

ব্যাটিং অর্ডারে এই বৈচিত্র দলের শক্তি, বলে দিলেন মর্গ্যান

কারণ, ওপেনার হিসেবে রাহুল ত্রিপাঠী দুরন্ত ইনিংস খেলে আমাদের ঘরে জেতার মতো রান তুলে দিয়েছিল।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০৩
Share:

লক্ষ্য: বিপক্ষ নিয়ে না ভেবে দলের উপর আস্থা রাখছেন মর্গ্যান। টুইটার

দেশের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে কখনও পাঁচ নম্বরে, কখনও বা ছয় নম্বরে ব্যাট করতে হচ্ছে তাঁকে। আইপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচ খেলার অনুভূতি, কোথায় উন্নতি প্রয়োজন, কত নম্বরে ব্যাট করতে তিনি সব চেয়ে স্বচ্ছন্দ? সব কিছু নিয়েই অইন মর্গ্যান একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দবাজারকে।

Advertisement

প্রশ্ন: ওপেনিং জুটি তৈরি। মাঝের সারির ব্যাটসম্যানদের কি স্থায়ী ব্যাটিং অর্ডার দেওয়া উচিত?

অইন মর্গ্যান: হয়তো দেখেছেন, আমাদের বোলিংয়ে কতটা বৈচিত্র রয়েছে। একই রকম আমাদের ব্যাটিং বিভাগ। প্রত্যেকের খেলার ভঙ্গি আলাদা। এটাই বড় শক্তি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাঝের সারির ব্যাটসম্যানেরা ব্যর্থ হওয়ার পরেও জেতার মতো রান আমাদের হাতে ছিল। কারণ, ওপেনার হিসেবে রাহুল ত্রিপাঠী দুরন্ত ইনিংস খেলে আমাদের ঘরে জেতার মতো রান তুলে দিয়েছিল। অথচ শারজায় এই রাহুলই কিন্তু আট নম্বরে নেমে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিল। এটাই ক্রিকেট। ভাল দিনে অদ্ভুত সিদ্ধান্ত তোমার পক্ষে যাবে। খারাপ দিনে, সেটা বুমেরাং হয়ে ফিরবে। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডারকে যে ভাবে সাজানো হচ্ছে, সে রকমই চলবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি প্রায় নিখুঁত দল হয়ে উঠেছে

শ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে আপনাকে। মরসুম যত এগোবে, ততই কি আপনাকে সক্রিয় হতে দেখা যাবে?

মর্গ্যান: দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তার অধিনায়ককে সাহায্য করা। সেটাই চেষ্টা করেছি। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমার সঙ্গে আলোচনা করলে যদি দলের উপকার হয়, তা হলে কেন করব না? ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়েও আমি জো রুটের সঙ্গে অনেক সময় আলোচনা করি। এতে দলের উপকারই হয়।

আরও পড়ুন: রাহুল, নাম তো শুনা হি হোগা​

অনেক সময় অধিনায়ক খোলা মনে ভাবতে পারে না। তখন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব তাকে ঠিক জায়গাটা ধরিয়ে দেওয়া। আশা করি, দলের কাজে আসার জন্য আমিও আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারব মাঠে দাঁড়িয়ে।

প্র: মরসুম যত এগোবে, স্পিনারদের ভূমিকা ততই বাড়বে। দলে দু’জন বিস্ময় স্পিনার থাকায় কি ট্রফি জয়ের আশা বাড়ছে?

মর্গ্যান: সবে পাঁচটা ম্যাচ হয়েছে। এখন থেকেই তৃপ্তির সাগরে ভেসে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, সুনীল নারাইন ও সি বরুণ দু’জনেই খুব সাহসী। কুলদীপ না খেললেও ওর মধ্যেও সাহস লক্ষ্য করা গিয়েছে। মার খাওয়ার ভয় ওদের নেই। স্পিনারদের এই সাহস ছড়িয়ে পড়ে দলের বাকিদের মধ্যেও। কিন্তু স্পিনারদের সাহায্যে ম্যাচ জেতার জন্যও রান করতে হবে ব্যাটসম্যানদের।

আরও পড়ুন: আইএফএ-র নামে নতুন মেট্রো স্টেশন​

দলের জয়ের ক্ষেত্রে কারও ভূমিকাই ছোট করা যায় না। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হয়তো স্পিনারদের জন্য ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা স্পিন খুব ভাল খেলে। তাদের বিরুদ্ধে শুধু স্পিনারদের উপর নির্ভর করলে কী করে হবে? ভাল কথা হচ্ছে, আমরা যে জিততে পারি, সেই আস্থা তৈরি হয়েছে প্রত্যেকের মধ্যে।

প্র: দেশের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করেন। নাইটদের হয়েও চার নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেলে কি সুবিধা হয়?

মর্গ্যান: ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক আমাকে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখতে চায়। শুরুতেই বলে দেওয়া হয়েছে, আমার দায়িত্ব ম্যাচ জেতানোর। তা ছাড়া চার থেকে আট নম্বর পর্যন্ত একের পর এক ম্যাচউইনার ব্যাট করতে নামে। নারাইন, রাসেল, ডিকে এমনকি কামিন্সের হাতেও বড় শট রয়েছে। ম্যাচ জেতানোর জন্য যে কোনও জায়গায় নামতে রাজি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটাই এ রকম। ওপেনার ছাড়া কোনও স্থায়ী ব্যাটিং অর্ডার থাকে না।

প্র: কার্তিকের ব্যর্থতা কি আপনার ও রাসেলের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে?

মর্গ্যান: একেবারেই না। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানেরা রান না পেয়ে আরও মরিয়া হয়ে গিয়েছে।

প্র: পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। দুরন্ত ছন্দে থাকা কে এল রাহুলই কি বড় উদ্বেগের কারণ?

মর্গ্যান: বিপক্ষ নিয়ে কেকেআর উদ্বিগ্ন হয় না। নিজেদের শক্তির উপর যথেষ্ট আস্থা আছে আমাদের। আশা করি, এই পরীক্ষাটাতেও পাশ করে যাব। তবে হ্যাঁ, রাহুল দারুণ ছন্দে। ওর উইকেটটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement