ছবি পিটিআই
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হারের পরে অইন মর্গ্যান মেনে নিলেন, তাঁদের সামনে প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। ১৩ ম্যাচে নাইটদের পয়েন্ট ১২। নেট রানরেট -০.৪৬৭। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারের পরে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততেই হবে নাইটদের। তাকিয়ে থাকতে হবে পঞ্জাবের দিকেও। যদিও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এই হারে ক্রিকেটারদের কোনও খামতি দেখছেন না মর্গ্যান।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘আমরা খারাপ খেলিনি। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। রানা আরও এক বার প্রমাণ করল, ও কত বড় ব্যাটসম্যান।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু টসে হেরে কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছি। পরের দিকে ব্যাটসম্যানেরা সাহায্য পেতে শুরু করেছিল। এ বার দেখা যাক। একটি ম্যাচ বাকি। প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। তবুও রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে আমাদের।’’
শেষ ওভারে বাকি ছিল ১০। তরুণ পেসার কমলেশ নগরকোটি বল করতে এসে প্রথম চার বলে চাপে ফেলে দিয়েছিল বিপক্ষকে। সেখান থেকে কী হল? মর্গ্যানের উত্তর, ‘‘নগরকোটি একেবারেই অনভিজ্ঞ। ওর হাতে ১৬-১৭ রান থাকলে ম্যাচটা অন্য রকম হতেই পারত। তবে এই হারের যন্ত্রণা ভুলে ও দ্রুত ফিরে আসবেই।’’
বিপক্ষ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি প্রশংসা করে গেলেন করোনাকে হার মানানো রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের। ৫৩ বলে ৭২ রান করে তিনিই ম্যাচের সেরা। তাঁকে নিয়ে ধোনির মত, ‘‘রুতুরাজ সত্যি প্রতিভাবান। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আসার পরেই করোনায় আক্রান্ত হয় ও। তাই মরসুমের আগে ওকে নেটে দেখে নেওয়ার সে রকম সুযোগ পাওয়া যায়নি। কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই নিজের প্রতিভার সদ্ব্যবহার করেছে রুতুরাজ।’’ ধোনি আরও বলেন, ‘‘জাডেজাকেও ভুললে চলবে না। চলতি মরসুমে ও-ই একমাত্র ব্যাটসম্যান যে ডেথ ওভারে নিয়মিত রান করেছে।’’
ম্যাচের সেরা রুতুরাজ জানিয়ে গেলেন, করোনাকে হার মানানোর পর থেকেই মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন তিনি। রুতুরাজ বললেন, ‘‘অধিনায়ক বলেন, হাসতে হাসতে প্রত্যেক পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। করোনা হওয়ার সময়ও এই কথাটা মাথায় ছিল। করোনাকে হার মানানোর পর থেকেই অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছি।’’