দেবদত্ত পাড়িকল ও সঞ্জু স্যামসন। ছবি পিটিআই।
আইপিএলের মতো মঞ্চে দুই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটিং আমাকে মুগ্ধ করল। দেবদত্ত পাড়িকল আর সঞ্জু স্যামসন। শুরুতেই বড় মঞ্চে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ নয়। দেবদত্ত সেই কাজটা সহজেই করল। সব চেয়ে বড় কথা, অভিষেক ম্যাচেই দলের জয়ে অবদান রাখল ও।
যারা ঘরোয়া ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখে, তাদের কাছে দেবদত্তের ব্যাটিং হয়তো চমকে ওঠার মতো কিছু ছিল না। কর্নাটকের হয়ে শেষ ঘরোয়া মরসুমে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলেছে ও। আমার সব চেয়ে ভাল লেগেছে, ওর মাথা সোজা রাখতে পারা এবং আগে থেকে বল দেখার দক্ষতা। কুড়ি বছর বয়সে এটাও দেখিয়ে দিতে পেরেছে যে, পেসারদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ ও। যেটা ওপেনার হতে গেলে দরকার। পাড়িকলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমি আশাবাদী। শুধু এটাই আশা করব যে, ওকে খোলা মনে এ ভাবেই ব্যাট করতে দেওয়া হবে। খুব বেশি পরামর্শ দিয়ে ওকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ার দরকার নেই।
এখনও পর্যন্ত আইপিএলের সব ক’টা ম্যাচই উত্তেজক হয়েছে। সঞ্জু স্যামসনের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসকে ভাল জয় উপহার দিয়ে গেল। হয়তো সহজ ব্যাটিং উইকেটে খেলা হয়েছে, কিন্তু তার জন্য সঞ্জুর এই ইনিংসকে কোনও ভাবেই ছোট করে দেখা যাবে না। আজ, আবার বিরাট কোহালিদের ম্যাচ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে হেরেছে পঞ্জাব। সেই ধাক্কা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। প্রথম ম্যাচে সানরাজ়ার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে আরসিবি। তবে আমার মনে হয়, হায়দরাবাদের উচিত ক্রিস জর্ডানকে বসিয়ে মুজিব-উর-রহমানকে খেলানো। আফগান স্পিনার অনেক বেশি কাজে আসতে পারে। আবার রাজস্থান রয়্যালসকেও জেতার পরেও প্রথম একাদশে বদল আনতে হবে। জস বাটলার পরের ম্যাচে ঢুকবে। (টিসিএম)
আরও পড়ুন: রোহিত-ঝড়ে উড়ে গেল নাইটরা
আরও পড়ুন: বুমরাদের বডিলাইন আক্রমণে ধরাশায়ী কেকেআর