ipl 2020

রাজস্থানের রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল চেন্নাই

১৬ রানে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল রাজস্থান রয়্যালস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শারজা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩৪
Share:

চেন্নাইয়ের ইনিংস টানলেন দু প্লেসি। -সোশ্যাল মিডিয়া।

দ্বিতীয় ম্যাচে থেমে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। নস্টালজিয়ার শারজায় রাজস্থান রয়্যালস ১৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল। অতীতে এই শারজাতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া একাধিক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এখানেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ‘মরু ঝড়’ তুলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মঙ্গলবারও ছক্কার ঝড় উঠল চেন্নাই-রাজস্থান ম্যাচে। ৩৩টি ছক্কা হাঁকালেন দু’ দলের ব্যাটসম্যানরা। রাজস্থান মারল ১৭টি ছক্কা। চেন্নাই তাদের থেকে একটি ছক্কা কম মারে।

Advertisement

টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০ ওভারে রাজস্থান করে সাত উইকেটে ২১৬ রান। এ বারের আইপিএলে এটাই সর্বোচ্চ রান। জবাব দিতে নেমে চেন্নাই থেমে যায় ছয় উইকেটে ২০০ রান।

রাজস্থান ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত ফিরে যাওয়ার পরে স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন চেন্নাই বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেন। বেশি মারমুখী ছিলেন সঞ্জু। মাত্র ১৯ বলে পঞ্চাশ রান করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দেবদত্ত উদয়ে বিরাট জয়

৩২ বলে ৭৪ রান করে এনগিডির বলে আউট হন সঞ্জু।ন’টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। সঞ্জু ফেরার পরে রাজস্থানের ইনিংস টানেন স্মিথ। ৪৭ বলে ৬৯ রান করেন অজি ব্যাটসম্যান। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে এক সময়ে মনে হয়েছিল দুশো পেরোতে পারবে না রাজস্থান। সেই সময়ে একাধিক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে চেন্নাই।

সেই সময়ে মনে হয়েছিল রাজস্থানকে হয়তো দুশো করতে দেবে না চেন্নাই। কিন্তু শেষ ওভারে নতুন টুইস্ট। জঘন্য বোলিং করেন এনগিডি। নো-ওয়াইড মিশিয়ে ন’ বল করেন তিনি। তাঁর ওভারে আসে ৩০ রান। চারটি ছক্কা মারেন জোফ্রা আর্চার। ৮ বলে ২৭ রান করে আর্চার রাজস্থানকে নিয়ে যান দারুণ জায়গায়। এনগিডির ওভারে বিরক্ত ধোনি ম্যাচের শেষে বলেন, “আমরা যদি নো বল করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম, তা হলে হয়তো ২০০ রান তাড়া করতে হত।”

রাজস্থানের করা পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নামলে শুরুটা ভাল করতে হত চেন্নাইকে। সেটাই হয়নি এদিন। রানের গতি বাড়াতে পারেননি চেন্নাই ব্যাটসম্যানরা। তার উপরে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ছিল। বেড়ে যায় আস্কিং রেট। দু’ প্লেসি ৩৭ বলে ৭২ রান করেন। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল চেন্নাইয়ের। দু প্লেসিস ফিরে যেতেই পরিষ্কার হয়ে যায় চেন্নাই আর ম্যাচ বের করতে পারবে না।

আগের দিন দলের প্রয়োজনে স্যাম কারেনকে উপরে তুলে এনে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন ধোনি। এ দিনও ব্যাটিং অর্ডারে অনেক পরিবর্তন আনেন ধোনি। কিন্তু নিজেকে উপরের দিকে তুলে আনেননি। বরং সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। দু প্লেসিসকে স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন তিনি। দু প্লেসিস আউট হওয়ার পরে শেষ ওভারে ধোনি তিনটি ছক্কা হাঁকান। ১৭ বলে ২৯ রান করেন ধোনি। তখন অবশ্য ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়েই গিয়েছিল।রাজস্থানের রানের পাহাড়েই চাপা পড়ল চেন্নাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement