তরুণ ভারতীয়রা এ বারের আইপিএলে ঝড় তোলায় বিদেশি প্লেয়ারদের উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে গিয়েছে দলগুলির। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতার বিকল্প হয় না। বেশ কিছু বিদেশি খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই নিজেদের মেলে ধরেছেন। টুর্নামেন্টের মাঝপথে তাঁদের নিয়ে তৈরি একাদশ কেমন হতে পারে? অধিনায়কই বা কে হবেন? দেখে নেওয়া যাক।
ফ্যাফ দু'প্লেসি: আট ম্যাচে ৩০৭ রান করে বিদেশিদের মধ্যে রানের তালিকায় তিনিই এক নম্বর। স্ট্রাইক রেট দেড়শ ছুঁইছুঁই। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে রয়েছেন তিন নম্বরে। এই দলের ওপেনার হিসেবে থাকছেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক): দু'প্লেসির সঙ্গী হবেন ওয়ার্নার। আট ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ২৮৪ রান। দলের অধিনায়ক হিসেবেও থাকবেন তিনিই। শুরুতে বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন বিপাকে ফেলতে পারে বিপক্ষকে।
শেন ওয়াটসন: চেন্নাই দলের হয়ে ওপেন করলেও এই দলে তাঁকে নামতে হচ্ছে তিন নম্বরে। মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে রান পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি সেখানে ব্যাট করার জন্যেও তৈরি। আট ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৪১ রান।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (উইকেটরক্ষক): ৩৬ বছরের এই দক্ষিণ আফ্রিকান অবসরের পর যেন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছেন। সব ব্যাটসম্যানরা যে উইকেটে খেলতে ব্যর্থ হচ্ছেন সেখানে এবি খেলছেন অবলিলায়। স্ট্রাইক রেট ১৮৫.৩৬। সাত ম্যাচ খেলে ২২৮ রান করে চার নম্বরে অন্য কারও নাম ভাবার সুযোগই রাখলেন না তিনি।
স্যাম কারেন: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওপেন করেও সফল তিনি। ধোনি তাঁকে বলেছেন, ‘কমপ্লিট প্লেয়ার’। ব্যাটে হোক বা বল, ২২ বছরের এই ইংরেজ অলরাউন্ডার বিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতেই পারেন। ব্যাট হাতে এখনও অবধি ৯৯ রান করলেও স্ট্রাইক রেট ১৯০.৩৮ রান। আট ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন নয়টি।
কায়রন পোলার্ড: অভিজ্ঞ ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে শেষের দিকে নেমে ঝড় তুলছেন। সাত ম্যাচ খেলে রান ১৭৪। অপরাজিত থেকেছেন পাঁচ ম্যাচে। স্ট্রাইক রেট ১৮৯.১৩। প্রয়োজনে বল হাতেও চমক দিতে পারেন তিনি।
মার্কাস স্টোয়নিস: দিল্লি দলের অন্যতম ভরসা এই অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। সাত ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ছয় উইকেট। রান করেছেন ১৭৫। শেষের দিকে নেমে ঝড় তোলা হোক বা পার্টনারশিপ ভাঙা, স্টোয়নিস অপরিহার্য।
জোফ্রা আর্চার: ইংরেজ পেসার এ বারের আইপিএলে নিয়েছেন নয় উইকেট। তাঁর গতি ভয় ধরাতে পারে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে। দরকারে ব্যাট হাতেও কাজে আসতে পারেন তিনি।
রশিদ খান: এই দলের এক মাত্র স্পিনার তিনিই। আট ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। ইকনমি ৫.৩৪। টি২০ ক্রিকেটে তাঁর মতো কৃপণ বোলার খুব কমই আছেন। ইনিংসের যে কোনও সময় ব্যাটসম্যানের উপর চাপ তৈরি করে দেন অনায়াসে।
ট্রেন্ট বোল্ট: কিউই পেসার মুম্বই দলে ভুলিয়ে দিয়েছে মালিঙ্গার অভাব। সাত ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। দলে এক জন বাঁ পেসার সব সময়ই বাড়তি সুবিধা দেয়। তাই দলের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকছেন তিনি।
কাগিসো রাবাদা: তাঁর উইকেট সংখ্যাই বলে দেয় কেন তিনি এই দলের প্রধান বোলার। সাত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের সংগ্রহ ১৭ উইকেট। এই মুহূর্তে পারপেল ক্যাপের মালিক তিনিই। তাঁকে বাদ দিয়ে এই দল অপূর্ণ থেকে যাবে।
ক্রিস মরিস: দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে রাখা হল প্রোটিয়া অলরাউন্ডারকে। এখনও অবধি খেলেছেন মাত্র দু’টি ম্যাচ। তাতেই সংগ্রহ করেছেন পাঁচ উইকেট। দরকারে যে তিনিই ব্যাট হাতেও কার্যকরী তা বলাই বাহুল্য।