এ বারের আইপিএলে ভারতীয় খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্স নজরকাড়া। তাঁদের থেকেই আমরা বেছে নিলাম সেরা ভারতীয় একাদশ। জাতীয় দলে নিয়মিতদের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন নতুনরাও। দেখে নেওয়া যাক কেমন হল সেই ভারতীয় একাদশ।
শিখর ধওয়ন: ১৭ ম্যাচে ৬১৮ রান করে দিল্লির তরুণ ব্রিগেডকে পথ দেখিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। পর পর দুই ম্যাচে শতরান করে এ বারের আইপিএলে নতুন রেকর্ড গড়েছেন শিখর। ওপেনার হিসেবে এই দলে থাকবেন তিনিই।
দেবদত্ত পাড়িকল: এ বারের আইপিএলের ইমার্জিং প্লেয়ার তিনিই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর চিনিয়ে দিয়েছে এমন এক বাঁহাতি ওপেনারকে যিনি ভবিষ্যতে হয়ে উঠতেই পারেন ভারতীয় দলের সম্পদ। ১৫ ম্যাচে ৪৭৩ রান করে এ বারের টুর্নামেন্টে দলের হয়ে সর্বাধিক রান করেছেন তিনিই। টপকে গিয়েছেন বিরাট কোহালি, এবি ডিভিলিয়ার্সদেরও।
লোকেশ রাহুল: কমলা টুপির মালিক ওপেনার হিসেবে আইপিএলে খেললেও এই দলে তাঁকে তিন নম্বরে আসতে হবে। তাঁর মতো পারদর্শী ব্যাটসম্যান যে কোনও জায়গাতেই প্রতিপক্ষের ত্রাস। ১৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৬৭০ রান, গড় ৫৫.৮৩। এই দলের উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই।
সূর্যকুমার যাদব: ১৬ ম্যাচে ৪৮০ রান করে মুম্বই দলের প্রাণ ভ্রমরা তিনিই। ভারতীয় দলে জায়গা না পেলেও ৩০ পেরনো এই মুম্বইকর কিন্তু দিনে দিনে রান মেশিন হয়ে উঠছেন। শুরুর দিকে নামলেও ম্যাচ শেষ করে আসাই তাঁর লক্ষ্য থাকে। ৪০ গড় বুঝিয়ে দেয় প্রতি ম্যাচে তিনি কতটা নিয়মিত রান করে গিয়েছেন এই টুর্নামেন্টে।
ঈশান কিশান: ফাইনালেও মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। তরুণ এই ব্যাটসম্যান এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা আবিষ্কার। ১৪ ম্যাচে ৫১৬ রান করে তিনি যে শুধু দলের সর্বাধিক রান করেছেন তা-ই নয়, দলের বিপদে ওপেনার হিসেবে নেমেও ভরসা জুগিয়েছেন। অনেক বেশি পরিণত ঈশানকে চেনালো এ বারের টুর্নামেন্ট।
শ্রেয়াস আয়ার: ব্যাটসম্যান শ্রেয়াসের সঙ্গে এ বারের আইপিএল পেল অধিনায়ক শ্রেয়াসকেও। ১৭ ম্যাচে ৫১৯ রান, গড় ৩৪.৬০। মিডল অর্ডারে ভারতীয় দলের ভরসা হতে পারেন তিনিই। এই দলের অধিনায়কও তিনিই।
রবীন্দ্র জাডেজা: চেন্নাই দলের এক মাত্র সদস্য এই দলে। এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ২৩২ রান। নিয়েছেন ৬টি উইকেট। চেন্নাই ব্যর্থ হলেও, তাঁর এই অলরাউন্ড পারফর্মান্স সেরা ভারতীয় দলে জায়গা করে দিয়েছে তাঁকে।
যুজবেন্দ্র চহাল: পেসারদের ভিড়ে তিনি যেন এক ব্যতিক্রমি স্পিনার এ বারের আইপিএলে। ১৫ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে এক সময় চলে ছিলেন বেগুনি টুপির লড়াইয়েও। ব্যাঙ্গালোর আরও দুটো ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে তিনিও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে থাকতেন তা বলাই বাহুল্য। এই দলে স্পিন বিভাগের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।
যশপ্রীত বুমরা: ফাইনাল অবধি বেগুনি টুপির লড়াইয়ে ছিলেন বুমরা। তিনি শেষ করলেন ১৫ ম্যাচে ২৭ উইকেট নিয়ে। শুধু উইকেট নেওয়া নয়, ডেথ ওভারে কৃপণ বোলিংও বিপক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বার বার। এই দলের সেরা বোলার তিনিই।
মহম্মদ শামি: ভারতীয় পেসার এ বারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। বুমরার সঙ্গী হিসেবে তাঁকেই বেছে নেওয়া হল এই দলে। টি নটরাজনও দাবীদার ছিলেন, তবে অভিজ্ঞতা এগিয়ে রাখবে বাংলার পেসারকে।
বরুণ চক্রবর্তী: ভারতীয়দের সেরা একাদশে কলকাতার এক মাত্র সদস্য। এ বারে তাঁর যা পারফর্মান্স সেরাদের এই দলে তিনি জায়গা করে নিতেই পারেন। ১৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোটের জন্য শেষ মুহূর্তে বাদ পড়তে হল তাঁকে।
হার্দিক পাণ্ড্য: তাঁর চুলের ছাঁট যেমন নজর কেড়েছে, তেমনই নজর কেড়েছে তাঁর ব্যাট। ১৭৮.৯৮ স্ট্রাইক রেট রেখে করেছেন ২৮১ রান। পোলার্ডের পাশে তিনিও ফিনিশার হিসেবে নজর কেড়েছেন বার বার। তবে প্রথম দলে নয়, তাঁর জায়গা হল দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে।