টক্কর: ধোনি না ঋষভ, প্লে-অফ দ্বৈরথে কে হাসবেন শেষ হাসি? ফাইল চিত্র
আইপিএলে এ বার সম্রাট ও তার সম্ভাব্য উত্তরসূরির লড়াই। আজ বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও ঋষভ পন্থ— পারফরম্যান্সের বিচারে কে কাকে ছাপিয়ে যাবে সেটাই প্রধান আকর্ষণ। এই লড়াইয়ে যে জিতবে সে রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এই মুহূর্তে ধোনির দেখানো পথেই হাঁটছে পন্থ। তাই এই দুই ক্রিকেটারের দ্বৈরথে আজ বিশাখাপত্তনমে কারা জিতে আইপিএল ফাইনালে যায়, সেটাই দেখার।
পন্থ ম্যাচ শেষ করে আসতে পারে না, বলেন অনেকে। কিন্তু ওর বয়স এখন ২১। আরও পরিণত হবে ও। এ ব্যাপারে আগামী দিনে অনেক কিছু শিখবে পন্থ। ওর প্রতিভা ঈশ্বরপ্রদত্ত ও বিরল। এর সঙ্গে রয়েছে শিখর ধওয়ন ও পৃথ্বী শ-এর মতো তরুণ প্রতিভা। তাই ব্যাটিং শক্তিতে দিল্লির গভীরতা অনেক বেশি। এই জায়গায় ওরা এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে।
অন্য দিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে কেউ তাদের অধিনায়ককে ছাপিয়ে যেতে পারবে না। ধোনির আত্মবিশ্বাসটাই প্রেরণা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট। তবে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের মজাটা এটাই যে, একজন ফর্মে না থাকা ব্যাটসম্যান দ্রুত ৪০ রান করে ম্যাচের রান বদলে দিতে পারে। তাই দিল্লির বিরুদ্ধে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা চায় ধোনি কমপক্ষে ৪০ বল খেলুক। যাতে তাদের রান ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছয়।
আমার মতে, দলে একটা বদল আনতে পারে সিএসকে। তা হল মিচেল স্যান্টনারকে প্রথম একাদশে আনা। বিশাখাপত্তনমের পরিবেশে ওর বোলিং এবং শেষের দিকের ওভারগুলোতে ব্যাট হাতে দ্রুত রান তোলার দক্ষতা কাজে লাগতে পারে।
দিল্লি প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারালেও আমি এখনও বলব, আগে যারা ব্যাট করেছিল, তারাই জিততে পারত। যদি বাসিল থাম্পি এক ওভারে অত রান না দিত। তা হলে যে রান সানরাইজার্স তুলেছিল, সেই রান আটকে রাখতে পারত তারা।
সিএসকে-র বিরুদ্ধে দিল্লির তুরুপের তাস হতে পারে অমিত মিশ্র। নিয়মিত ভাবে উইকেট নিতে পারার জন্যই ওর চার ওভার বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে সিএসকের এমন কয়েকজন ব্যাটসম্যান রয়েছে, যারা সুযোগ পেলে দ্রুত ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।
এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। তবে যে অধিনায়ক টস জিতবে, সে ভাল জায়গায় থাকবে। (টিসিএম)