দাদার ছকে ধরাশায়ী। এ বার সামনে ফর্মে মিস্টার কুল। যাঁর কাছে প্রথম ম্যাচ হারতে হয়েছে। ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কে যিনি কলকাতার অধিনায়ক কার্তিকের থেকে বহুগুণ এগিয়ে। বাড়তি চিন্তার কারণ সুনীল নারাইনের চোট। হঠাৎই এলোমেলো লাগছে নীতিশ রাণাকে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিততে না পারলে লিগ টেবিলে অনেকটাই পিছনে চলে যাবে কলকাতা। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিততে স্ট্র্যাটেজিতে কী বদল আনতে পারে কেকেআর। দেখে নেওয়া যাক।
চোটের জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি সুনীল নারাইন। যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। রবিরারের ম্যাচে নারাইনকে খেলানোর চেষ্টা করবেই দল। একান্ত যদি তিনি খেলতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে ইনিংস শুরু করতে পারেন নীতিশ রাণা।
নারাইন না খেললে ফেরানো হতে পারে ক্রিস লিনকে। রাণার সঙ্গে লিন ইনিংসের শুরু করলে তিন নম্বরে আসতে পারেন শুভমান গিল। সেক্ষেত্রে দলের ভারসাম্যও বাড়বে। তিন নম্বরে গিল নামলে ব্যাটিং অর্ডারও শক্তিশালী হবে। গত ম্যাচে ভাল ব্যাট করেছেন।
প্রয়োজনে চার নম্বরে নামানো হতে পারে রবীন উথাপ্পাকে। প্রয়োজনে দ্রুত রান তুলতে পারেন আবার কার্তিক এবং রাসেলকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়ার ক্ষমতারও আছে কেকেআরের বহু যুদ্ধের নায়কটির।
যাতে রাসেল খোলা মনে বড় শট খেলতে পারেন, সে জন্য তাঁকে চাপ মুক্ত ভাবে খেলতে দেওয়া উচিত। তা হলে দলেরই লাভ। দিল্লির ম্যাচে একদম শেষ ওভারগুলিতে রাসেল থাকলে কেকেআরের রান আরও অনেকটা বেশি উঠত। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে কার্তিককে।
চেন্নাইয়ের বড় ভরসা অধিনায়ক ধোনি এবং সুরেশ রায়না। বেশ কয়েকটা ম্যাচে শেষ দিকে একাই দলকে টানতে দেখা গিয়েছে মিস্টার কুলকে। ধোনিকে আটকানোর চেষ্টা করতেই হবে কেকেআরকে। সে ক্ষেত্রে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন কুলদীপ যাদব।
চেন্নাইয়ের দলে রয়েছেন হরভজন সিংহের মতো স্পিনার। বুড়ো বয়সেও যে তিনি ভেল্কি দেখাতে পারেন, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। কোনও ভাবেই ভাজ্জিকে হালকা ভাবে নেওয়া ঠিক হবে না কলকাতার।
কেকেআরের পেস বোলিং শক্তির অবস্থা বেশ করুণ। লকি ফার্গুসনের বদলে অবশ্যই গার্নিকে ফিরিয়ে আনতে হবে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে।