আইপিএলের মরসুম জমজমাট। কোনও দল ভাল খেলছে, কোনও দল একেবারেই নয়। যারা কেউ বা ছক্কা হাঁকাচ্ছেন অনায়াসে, কেউ বা পর পর ব্যর্থ। তবে প্রতিটি দলেরই রিজার্ভ বেঞ্চে এমন কয়েক জন তারকা রয়েছেন, যাঁরা চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত খেলেননি প্রথম একাদশে। তবে এঁরা খেললে খেলার ফল অন্যরকমও হতে পারে। এঁরা প্রত্যেকেই নির্ভরযোগ্য, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিস লিনের পরিবর্তে কার্লোস ব্রেথওয়েটকে ভাবতেই পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কার্লোস বিগ হিটার। প্রয়োজনে বলটাও করে দিতে পারেন। তাঁকে প্রথম একাদশে নেওয়ার সুযোগ এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম ভরসা হতে পারতেন ফাফ দু’প্লেসি। ওপেনার হিসেবে শেন ওয়াটসন ব্যর্থই বলা যায়। বল করতেও তেমন ভাবে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। ওয়াটসনের জায়গায় ফাফ খেললে চেন্নাইয়ের ওপেনিং আরও ভাল হবে আশা করা যায়।
দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম একাদশে এখনও পর্যন্ত জায়গা হয়নি কলিন মুনরোর। কিউই অলরাউন্ডার দিল্লিকে একটা ভাল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দিতে পারত। মিডিয়াম পেস বোলার হিসাবেও তিনি বেশ ভাল।
রাজস্থান রয়্যালসের মহীপাল লোমরোর এরকমই একজন ক্রিকেটার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে রাজ্যের দলকে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তাঁর গড় ছিল ৪০। বাঁ হাতি এই স্পিনার অলরাউন্ডারকে নিলে রাজস্থান রয়্যালসের ফল অন্য রকম হতে পারত বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
ইশান কিষাণ হতে পারেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অন্যতম ভরসা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বেশ ভাল ব্যাট করেছিলেন তিনি। গড় ছিল ৫৫.৫০। স্ট্রাইক রেট ১৫১.৩৬। কুইন্টন ডি কক ভাল খেলায় ইশান প্রথম এগারোয় এখনও পর্যন্ত জায়গা করে নিতে পারেননি। ২০১৮ সালের আইপিএলেও ২৭৫ রান করেছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৯.৪৫। উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান যে কোনও জায়গাতেই খেলতে স্বচ্ছন্দ।
খলিল আহমেদ যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম একাদশে খেলবেন, সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কল, বাসিল থাম্পি, সন্দীপ শর্মাদের ভিড়ে খলিলের জায়গা করে নেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে ভুবি খুব একটা ভাল খেলতে পারছেন না, তাই খলিলকে এক বার নেওয়া যেতেই পারে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওয়াশিংটন সুন্দরের আইপিএল রেকর্ড বেশ ভাল। সিএসকের বিরুদ্ধে আরসিবি মাত্র দুই স্পিনার নিয়ে খেলেছিল। চেন্নাইয়ের ধীরগতির পিচে তিনি উপযুক্ত হতে পারতেন। তিনি থাকলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওয়ার্নারদের পাওয়ার হিটিং আটকানো যেতে পারত বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কোহালিদের এই বিপর্যয়ের অবস্থায় তিনি রক্ষাকর্তা হতেই পারেন।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের করুণ নায়ার দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি টেস্ট ক্রিকেটে ত্রিশতরান করেছেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেছেন এক সময়। ২৭ বছরের নায়ার ২০১৭ সালে ২৮১ রান করেছিলেন। গড় ছিল ২১.৬১। ২০১৮ সালে ৩০১ রান করেছিলেন, গড় ছিল ২৫.০৮।