পিটি ঊষা। — ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রাক্তন দৌড়বিদ তথা অলিম্পিক্স কমিটির (আইওএ) প্রধান পিটি ঊষার বিরুদ্ধে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে সংস্থা চালানোর অভিযোগ এনেছিলেন কর্মসমিতির ১২ জন সদস্য। রবিবার পাল্টা চিঠিতে তাঁদের আক্রমণ করলেন ঊষা। জানালেন, ক্ষমতা কায়েম এবং আর্থিক সুবিধা পেতেই তাঁরা প্রশাসনকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন।
শনিবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির কর্তা জেরোম পোইভিকে চিঠি লেখেন কর্মসমিতির ১২ সদস্য। তাঁরা জানান, ঊষা ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে আইওএ পরিচালনা করছেন। তাঁর মতের সঙ্গে মিল না হলেই বেঁকে বসছেন। সিইও রঘুরাম আয়ারের নিয়োগ ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক। রঘুরামকে সরাতে ঊষা রাজি না হওয়ার কারণেই তাঁকে ঘিরে বিরোধিতার সুর চরমে ওঠে।
সেই চিঠির বিরোধিতা করে পাল্টা চিঠিতে ঊষা লিখেছেন, “ক্রীড়াবিদ হিসাবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার পর আমার ৪৫ বছরের জীবনে কখনও এ রকম মানুষদের দেখিনি, যারা দেশের ক্রীড়াবিদ এবং দেশের খেলাধুলোর ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার বদলে ভিন্ন মত পোষণ করে। ওরা বরং নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করা এবং আর্থিক সুবিধার কথাই বেশি ভাবে। সে কারণে ক্রীড়া প্রশাসনে দাপট দেখিয়ে যেতে চায়।”
তিনি আরও লিখেছেন, “কর্মসমিতির সদস্যদের অতীত ইতিহাসও ভাল নয়। তাঁদের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষম্য এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। এটা প্রকাশ্যে আনা খুবই দরকার।”
ঊষার বিরুদ্ধে পোইভিকে পাঠানো চিঠিতে সই রয়েছে সহ-সভাপতি রাজলক্ষ্মী দেও, গগন নারাং, কোষাধ্যক্ষ সহদেব যাদব, যুগ্ম সচিব অলকানন্দা অশোক এবং কল্যাণ চৌবে, কর্মসমিতির সদস্য অমিতাভ শর্মা, ভূপেন্দ্র সিংহ বাজওয়া, রোহিত রাজপাল, দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়, হরপাল সিংহ এবং যোগেশ্বর দত্তের।
সেই অভিযোগকে ‘বিদ্বেষমূলক এবং অসত্য’ আখ্যা দিয়ে ঊষা লিখেছেন, তাঁর নেতৃত্ব এবং ভারতের খেলাধুলোর উন্নতির চেষ্টাকে কালিমালিপ্ত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সিইও হিসাবে রঘুরামের নিয়োগ আইওএ-র সংবিধান মেনেই হয়েছে। ভারতের খেলাধুলোর উন্নতিকে ছোট করে দেখাতে এই চিঠি লেখা হয়েছে।