মেজাজে সুনীল গাওস্কর। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
যদি আধুনিক সময়ে খেলতেন, তবে টেস্টে সুনীল গাওস্করের রান ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যেত বলে মনে করেন ইনজামাম উল হক।
টেস্টে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গিয়েছিলেন সুনীল গাওস্কর। ডন ব্র্যাডম্যানকে টপকে টেস্টে ৩৪ শতরানে থেমেছিলেন তিনি। যা ছিল রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১২৫ টেস্টে ১০,১২২ রান করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে অভিষেকের পর ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। টেস্টে শেষ ইনিংসে তাঁর ব্যাটে এসেছিল ৯৬।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ইনজামাম উল হক বলেছেন, “আমায় যদি প্রশ্ন করেন, তবে বলব যে সুনীলের সেই সময়ের ১০ হাজার রান এখনকার সময়ে ১৫ হাজার বা ১৬ হাজার রানের সমান। রান তার চেয়েও বেশি হতে পারত, কিন্তু কোনও ভাবেই কমত না। সেই সময় অনেক গ্রেট খেলোয়াড়রা ছিলেন। তার আগেও ক্রিকেটে অনেক গ্রেটরা এসেছিলেন। জাভেদ মিয়াঁদাদ, ভিভ রিচার্ডস, গ্যারি সোবার্স, ডন ব্র্যাডম্যান। কিন্তু কেউই ১০ হাজারে পৌঁছনোর কথা ভাবেননি।”
আরও পড়ুন: সৌরভ বিশ্বের অন্যতম সেরা হতে পেরেছিল ওই ঘটনার পরেই: অরুণ লাল
আরও পড়ুন: দলে বদল না আনলে বিপর্যয় আসন্ন, বার্সার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মেসি
এখন ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বাইশ গজ অনেক বেশি সহায়ক হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন ইনজামাম। তাঁর কথায়, “ফর্ম ভাল থাকলে এখন এক মরসুমে ১০০০ থেকে ১৫০০ রান করা সম্ভব। কিন্তু সুনীল যখন খেলতেন, তখন পরিস্থিতি এমন ছিল না। এখন পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট তৈরি করা হয়, যাতে বেশি রান আসে। আইসিসি-ও চায় যে ব্যাটসম্যানরা রান করুক, যাতে দর্শকরা উপভোগ করেন। কিন্তু আগেকার দিনে উইকেট মোটেই ব্যাটিংয়ের পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরে খেলার সময়।”
টেস্টে ঘরের মাঠে ও বিদেশে, উভয় জায়গাতেই গাওস্করের গড় পঞ্চাশের উপরে। তবে তুলনায় বিদেশে গাওস্করের গড় একটু ভাল। বিদেশে তাঁর গড় ৫২.১১। সেখানে ঘরের মাঠে তাঁর গড় ৫০.১৬। বিদেশে গাওস্করের ব্যাটে এসেছে ১৮ সেঞ্চুরি। সেখানে ঘরের মাঠে তাঁর ব্যাটে এসেছে ১৬ শতরান।