পরীক্ষা: খেতাব পেতে জবিদের টানা জিততে হবে। ফাইল চিত্র
চেন্নাই সিটি এফসি অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো এগোতে শুরু করলেও তাদের কোচ আকবর নওয়াজ কিন্তু আই লিগ তাঁরাই পাচ্ছেন, এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। সোমবার কোয়েম্বত্তূর থেকে ফোনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কুড়ি ম্যাচ পরে হাতে ট্রফি পেলে তবেই নিশ্চিত হব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’’
পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সোমবার হারিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। লিগে শীর্ষ স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি তাদের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ২৭ ছুঁয়েছে। কত পয়েন্ট পেলে নিশ্চিত হবেন চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন? সিঙ্গাপুর নিবাসী কোচের সহাস্য মন্তব্য, ‘‘লিগ টেবলের দিকে তাকাচ্ছি না। কোনও টার্গেট পয়েন্টও নেই। পরের আইজল ম্যাচের কথা ভাবছি।’’
দক্ষিণী ক্লাবের কোচ যে কথাই বলুন, কলকাতার লিগ জয়ী দুই কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সঞ্জয় সেন মনে করেন, খেতাব জেতার সত্তর থেকে আশি ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে পেদ্রো মেনজিদের। দুই সফল কোচেরই মত, ইস্টবেঙ্গলের সামান্য সম্ভবনা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু সাতটা ম্যাচের সব ক’টি জিতলেও মোহনবাগানের খেতাব জয়ের কোনও সুযোগ নেই।
মনোরঞ্জন বলে দিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ম্যাচটা ড্র রাখতে পারলেও সুবিধা হত। তবে চেন্নাই যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ওদের রোখা কঠিন। ইস্টবেঙ্গল একটা ম্যাচ কম খেলেছে। সেই অর্থে হিসেব মতো পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধান রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চেন্নাইয়ের। খেতাব জিততে হলে ধারাবাহিকতা রাখতে হবে জবি জাস্টিনদের। সেটাই তো হচ্ছে না।’’ আর সঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘‘সাম্প্রতিক কালে চেন্নাইয়ের মতো কোনও ক্লাব এ রকম জয়ের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। এ রকম পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিততে পারেনি। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। বাকি আট ম্যাচের চারটে জিতলেই ওরা ট্রফি পেয়ে যাবে। ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাবনা এখনও আছে। তবে ওদের ডার্বি-সহ প্রায় সব ম্যাচ জিততে হবে।’’ লিগ টেবলের অঙ্কে অবশ্য চারটি দলের সামনে খেতাব জয়ের সম্ভাবনা আছে। চার্চিল ব্রাদার্স (২২), রিয়াল কাশ্মীর (২২), নেরোকা (২১) এবং ইস্টবেঙ্গল (১৯)। আর সে জন্যই ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস হারের পর মঙ্গলবার কলকাতা ফিরে এসেও হতাশায় ভেঙে পড়েননি। বলেছেন, ‘‘পরপর দুটো ম্যাচ জিতলেই সব বদলে যাবে।’’
২৭ জানুয়ারি কলকাতা ডার্বিতে খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে নামার আগে শুক্রবার টোনি ডোভালরা মুখোমুখি হবেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের। ক্লাব সূত্রের খবর, এই সপ্তাহেই শহরে এসে পড়ছেন এনরিকে এসকুয়েদা। সুস্থ থাকলে তাঁকে ডার্বিতে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। পরিস্থিতি যা, তাতে ডার্বি না জিতলে আলেসান্দ্রোর দলের খেতাবের লড়াইতে টিকে থাকা কঠিন। অন্য দিকে দু’দিন বিশ্রামের পর মঙ্গলবার থেকে সনি নর্দেরা ডার্বির প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন। চোট পাওয়া এল ওমর এলহুসেইনি ছাড়া সবাই এসেছিলেন। হাতে প্রায় বারো দিন সময় পাচ্ছেন খালিদ। তাঁর লক্ষ্য একটাই— খেতাব না পেলেও ডার্বি জয়ের মধ্যে দিয়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া।