মরিয়া: জার্মানি বড় কাঁটা হলেও তৈরি ভারত। ফাইল চিত্র।
জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হারের পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় দল। সেই থেকে দুরন্ত দৌড় চলছে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের। এ বার আত্মবিশ্বাসী বিবেক সাগর সিংহদের সামনে শুক্রবার সেমিফাইনালে জার্মানিকে হারানোর পরীক্ষা। যারা ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন।
ভারতের প্রধান শক্তি আক্রমণ বিভাগের পাশাপাশি মজবুত রক্ষণ এবং ড্র্যাগ ফ্লিক। বুধবার ভারতের রক্ষণ দুরন্ত খেলে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে জিততে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। ভারতীয় রক্ষণ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন যশদীপ সিওয়াচ, সহ-অধিনায়ক সঞ্জয় কুমার এবং শরদানন্দ তিওয়ারি। পাশাপাশি ভারতের দুই গোলকিপার প্রশান্ত চৌহান এবং বিশেষ করে পবন বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে অসাধারণ খেলেছিলেন। যার ফলে বেলজিয়ামের শক্তিশালী আক্রমণ কোনও গোল করতে পারেনি ম্যাচে।
এ ছাড়া চার জন পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ সঞ্জয়, তিওয়ারি, আরাইজিৎ সিংহ হুন্ডাল এবং অভিষেক লাকড়া সেট পিসে ভারতের শক্তি বাড়িয়েছেন। সেটা চলতি প্রতিযোগিতাতেও স্পষ্ট। এমনকী বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের গোলও আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে। সঞ্জয় গোলের বল বাড়ান তিওয়ারিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে সঞ্জয় গোল না পেলেও তিনিই সেট পিস থেকে গোল করার ক্ষেত্রে ভারতের সেরা বাজি। ইতিমধ্যেই তিনি ফ্রান্স এবং পোলান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন।
বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতের পারফরম্যান্সের বড় দিক ছিল চাপের মধ্যেই মাথা ঠান্ডা রেখে যাওয়া। ভারতের প্রধান কোচ গ্রাহাম রিডও সে কথা মানছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যে রকম খেলেছিল তার চেয়ে এই ম্যাচে আমাদের ডিফেন্স অনেক ভাল পারফর্ম করেছে। তার জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। দু’জন গোলকিপারও দুরন্ত ছিল। ওদের এ ভাবে খেলতে দেখে দারুণ লাগছে। তবে এখনও আমাদের কাজ শেষ হয়নি।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘আমি সব সময়ই বলি ফোকাস ধরে রাখতে হবে। তা ছাড়া মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপারটা ভাল প্রস্তুতি থাকলে চলে আসে।’’
জার্মানিও নিশ্চিত ভাবে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মুখিয়ে থাকবে। কারণ তাদের সামনে আট বছর পরে ফের এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। শেষ বার জার্মানি জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ জেতে ২০১৩ সালে নয়াদিল্লিতে। এর পরে তাদের এই প্রতিযোগিতায় সেরা ফল ২০১৬ সালে লখনউয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন।
রিডও সতর্ক। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচের শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত জার্মানিকে নিয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। বছরের পর বছর ধরে প্রমাণ করে এসেছে কতটা শক্তিশালী ওরা। বিশেষ করে এই পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়। জুনিয়র বিশ্বকাপে ওদের দাপট কতটা সেটা সবই জানে।’’ অন্য ম্যাচে ফ্রান্স মুখোমুখি আর্জেন্টিনার।