প্রবীণ কুমার। ছবি: রয়টার্স।
প্যারালিম্পিক্সে ষষ্ঠ সোনা ভারতের। হাই জাম্পে প্রবীণ কুমার পদক এনে দিলেন দেশকে। ২.০৮ মিটার উঁচুতে লাফিয়ে সোনা জিতলেন তিনি। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন প্রবীণ। এ বার সোনা জিতলেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকার ডেরেক লকিডেন্টের থেকে ০.০২ মিটার উঁচুতে লাফিয়ে জিতলেন প্রবীণ।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের মতো এ বারেও এশিয়ান রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন প্রবীণ। টি৬৪ ইভেন্টে টোকিয়োয় ২.০৭ মিটার লাফিয়ে ছিলেন। সেটা সেই সময় ছিল এশিয়ান রেকর্ড। এ বারে আবার রেকর্ড গড়লেন তিনি।
প্রবীণের বাঁ পা ডান পায়ের তুলনায় ছোট। জন্ম থেকেই তিনি আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। নয়ডার গোবিন্দগড় গ্রামের সেই প্রবীণই এখন প্যারালিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন। দিল্লির মতিলাল নেহরু কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন তিনি। ছোট থেকেই খেলতে ভালবাসেন প্রবীণ। স্কুলে চুটিয়ে ভলিবল খেলতেন। সেটাই ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। আন্তঃ জেলা স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতে এক বার হাই জাম্পে নাম দিয়ে প্রথম তিনে না থাকায় মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। সেই সময় একজন শিক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, প্রবীণ প্যারা-অ্যাথলেটিক্সে গেলে ভাল করবে। তাঁর কথা শুনে গুগল করে জানতে পেরেছিলেন প্যারা-অ্যাথলেটিক্সের কথা। তার পরেই তিনি প্যারা-হাই জাম্পে মন দিয়েছিলেন। তাঁর স্কুলের অধ্যক্ষা দীপ্তি শর্মা সে সময় প্রবীণকে খুব উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছিলেন।
জেলার প্রতিযোগিতাতে হাই জাম্পের এক কর্তা প্রবীণকে বলেছিলেন দ্রোণাচার্য কোচ সত্যপাল সিংহের সঙ্গে দেখা করতে। বাবাকে নিয়ে প্রবীণ দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে সত্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেটা ২০১৮ সাল। প্রবীণকে দেখার পরে সত্যপাল তাঁকে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে বলেন। ২০১৯ সালে সত্যপালের কাছে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করেন প্রবীণ। সাই, পরিবার এবং সত্যপালের কাছে প্রবীণ চিরকৃতজ্ঞ।