Tennis

ভারতের এক নম্বর খেলোয়াড়ের ব্যাঙ্কে সঞ্চয় ফুরোচ্ছে, অনুশীলনের খরচ জোগাতে হিমশিম

ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। বাকি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে এটিপি ট্যুর করতে গিয়ে। এক বছরে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। সেটা করতে গিয়েই এখন ব্যাঙ্কে ৮০ টাকা রয়েছে নাগালের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫
Share:

সুমিত নাগাল। —ফাইল চিত্র।

ক্রমতালিকায় ভারতের এক নম্বর টেনিস তারকা সুমিত নাগাল। তাঁর ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা। বাকি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে এটিপি ট্যুর করতে গিয়ে। এক বছরে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। সেটা করতে গিয়েই এখন ব্যাঙ্কে ৮০ টাকা রয়েছে নাগালের।

Advertisement

জার্মানির নানসেল টেনিস অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেন নাগাল। কিছু বছর ধরেই সেখানে অনুশীলন করেন তিনি। কিন্তু টাকার অভাবে সেখানে শেষ তিন মাস ধরে অনুশীলন করতে পারছেন না নাগাল। এই বছরের শুরুতে সোমদেব দেববর্মণ এবং ক্রিস্টোফার মারকুইস তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তাই জার্মানিতে অনুশীলন করতে পেরেছিলেন নাগাল।

ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়দের কাছে অর্থ সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বার বার। কিন্তু দেশের এক নম্বর সিঙ্গলস খেলোয়াড়ের কাছে টাকা নেই এবং তাঁর পরিবার অর্থকষ্টে ভুগছে এমন পরিস্থিতি বিরল। সেই সঙ্গে এই পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেয় যে, দেশের টেনিস খেলোয়াড়দের কী অবস্থা। এটিপি ট্যুরে গিয়ে খেলা এবং থাকার জন্য খরচ করতে গিয়ে নাগাল তাঁর পুরস্কারের সব অর্থ খরচ করে ফেলেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাগাল বলেন, “এই বছরের শুরুতে যে টাকা আমার ব্যাঙ্কে ছিল, এখন সেটাই পড়ে আছে। সেটা ওই ৮০ হাজার টাকা মতো। মহা টেনিস ফাউন্ডেশন আমাকে সাহায্য করে। চাকরি করি যে সংস্থায়, সেখান থেকে প্রতি মাসে আয় করি। কিন্তু কোনও স্পনসর নেই আমার।” তবে নাগালের টেনিস র‍্যাকেট, জুতো এবং আরও সরঞ্জামের দায়িত্ব নিয়েছে ইয়োনেক্স।

Advertisement

এই বছর ২৪টি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন নাগাল। সেখান থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। ইউএস ওপেনের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম রাউন্ডে হেরেও ১৮ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। সেটাই এই বছরে তাঁর সব থেকে বেশি আয়। নাগাল বলেন, “যা আয় করি, তার পুরোটাই খরচ হয়ে যায়। এক জন কোচ নিয়ে গোটা বছর এটিপি ট্যুর করতে আমার ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ হয়। ফিজিয়ো নিলে সেটার খরচ আলদা। দেশের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হয়েও খুব বেশি সাহায্য পাই না। আমিই দেশের এক মাত্র সিঙ্গলস খেলোয়াড় যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে সুযোগ পাই। কিন্তু কেন্দ্রের থেকে কোনও সাহায্য পাই না আমি।”

চোট পেয়ে খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নাগালের। সেই সময় থেকেই সাহায্য পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। নাগাল বলেন, “কেউ বোধ হয় ভাবতেই পারেনি যে, আমি ফিরে আসতে পারব। সত্যি বলতে আমি জানি না, এই ভাবে কত দিন চালাতে পারব। সব আশা ছেড়ে দিয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement