ফাইল চিত্র।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে তাঁর দল শেষ পর্যন্ত পদক জিততে পারেনি। কিন্তু ভারতীয় হকি-মহলে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের কোচ সোর্দ মারিন। যিনি রানি রামপালদের পরিচিতিকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়।
কিন্তু তার পরেও মনের মধ্যে জমে থাকা অভিমান রয়েই গিয়েছে আগের মতো। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে ব্যর্থতার পরে যে ভাবে তাঁকে পুরুষ দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মহিলা দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, মারিন মনে করেন, সেই সিদ্ধান্ত ছিল তাঁর কাছে অপমানজনক এবং অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
২০১৭ সালে ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোচ হিসেবেই তিনি পা রেখেছিলেন ভারতে। সেই বছরেরই শেষ দিকে মারিনের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরুষ দলের দায়িত্ব। কিন্তু ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় দল ব্যর্থ হওয়ার পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদ থেকে। নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ করে হয় হরেন্দ্র সিংহকে। তিনি ফের তুলে নেন রানিদের দায়িত্ব।
সেই তিক্ত অধ্যায় এখনও ভুলতে পারেননি মারিন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা নিয়ে মারিন বলেছেন, “অবশ্যই সেই দায়িত্ব বদলের বিষয়ে খুশি হতে পারিনি। যা ঘটেছিল তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই ছিল না। বিষয়টা অত্যন্ত অপমানজনক বলে মনে হয়েছিল।” তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, মহিলা দলের কোচ হিসেবে ফিরে আসার পরে প্রত্যেকে খুব আনন্দিত হয়েছিলেন।
সেই প্রসঙ্গে মারিন বলেছেন, “মনে আছে মহিলা দলের কোচ হিসেবে আবারও ফিরে আসার পরে আমার ঘরে এসে গোলকিপার সবিতা বলে গিয়েছিল, আপনি ফিরে আসায় আমরা সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। বলতে পারেন, ওই মন্তব্যটাই পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে দিয়েছিল।”
তবে এই সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ডাচ হকি খেলোয়াড় জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, তাঁকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হলে নিশ্চিত ভাবে পুরুষ দলকে নিয়েও সাফল্য পেতেন। তিনি বলেছেন, “এমন নয় যে, মহিলা দলের কোচ হিসেবে আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পার্থক্য একটাই, পুরুষ দলটাকে নিয়ে কাজ করা ছিল এক কঠিন পরীক্ষা।”