লক্ষ্য সেন। —ফাইল চিত্র।
দ্বিতীয় বারের জন্য অল ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে খেলতে নেমেছিলেন লক্ষ্য সেন। কিন্তু পারলেন না তিনি। সেমিফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার জোনাথন ক্রিস্টির কাছে তিন গেমের লড়াইয়ে হারলেন তিনি। প্রথম গেম হারার পরে দ্বিতীয় গেম জিতেছিলেন লক্ষ্য। তৃতীয় গেমে হারতে হল তাঁকে। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেন লক্ষ্য (১২-২১, ২১-১০, ১৫-২১)।
প্রথম গেমের শুরুতেই এগিয়ে যান ক্রিস্টি। তাঁর সামনে থিতু হওয়ারও সুযোগ পাননি লক্ষ্য। একের পর এক পয়েন্ট নষ্ট করতে থাকেন তিনি। ক্রিস্টি লক্ষ্যের ব্যাকহ্যান্ডে খেলছিলেন। ফলে স্ম্যাশ মারতে সমস্যা হচ্ছিল লক্ষ্যের। সেটাই কাজে লাগান ক্রিস্টি। ২১-১২ প্রথম গেম জিতে যান তিনি।
দেখে মনে হচ্ছিল, স্ট্রেট গেমে জিতবেন ক্রিস্টি। কিন্তু দ্বিতীয় গেমে ম্যাচে ফেরেন লক্ষ্য। প্রথম গেমে যে ভুল করছিলেন তা দ্বিতীয় গেমে করেননি তিনি। উল্টে ক্রিস্টিকে চাপে ফেলে দেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা। এক বার পিছিয়ে পড়ার পরে আর ফিরতে পারেননি ক্রিস্টি। ১০-২১ হারেন তিনি।
তৃতীয় তথা নির্ণায়ক গেমে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্য। বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। ক্রিস্টি পিছিয়ে থাকলেও হাল ছাড়েননি। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য লড়াই হচ্ছিল। একটা সময় ১৫-১২ এগিয়ে ছিলেন লক্ষ্য। সেখান থেকে বদলে গেল খেলা। পরের ন’টি পয়েন্ট টানা জিতলেন ক্রিস্টি। ১২-১৫ পিছিয়ে থেকে ২১-১৫ তৃতীয় গেম জিতে নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন। ভারতের শেষ ভরসা লক্ষ্যকে খালি হাতেই ফিরতে হল।
২০২২ সালের অল ইংল্যান্ডে ফাইনালে উঠেছিলেন লক্ষ্য। ফাইনালে ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে হেরেছিলেন তিনি। এ বারও ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে খেলছিলেন তিনি। কিন্তু তা হল না। সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল লক্ষ্যকে।