ঋষভ পন্থ। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন অন্তত ২৪ মাস সময় লাগবে। কিন্তু তার ১০ মাস আগেই মাঠে ফিরেছেন ঋষভ পন্থ। চলতি মাসে শুরু হতে চলা আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক তিনি। গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পরে কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠলেন পন্থ? সেই কাহিনি শুনিয়েছেন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) ফিজিয়ো ও চিকিৎসকেরা।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন পন্থ। প্রথমে দেহরাদূন ও তার পরে মুম্বইয়ে চিকিৎসার পরে পন্থকে পাঠানো হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। সেখানে তাঁকে প্রথমে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ফিজিয়ো তুলসী যুবরাজ। তিনি জানিয়েছেন, সামান্য নড়াচড়া করালেই ব্যথায় চিৎকার করছিলেন পন্থ।
তুলসী বলেন, “পন্থ বেঙ্গালুরুতে আসার পরে ক্রিকেট বোর্ডের স্পোর্টস সায়েন্সের প্রধান নিতিন ভাই আমাদের বলেছিল, প্রাথমিক পর্বে খুব সাবধানে থাকতে। পন্থকে তখন স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া হত। সেই সময় যদি স্ট্রেচার একটু নড়ত তা হলেই পন্থ যন্ত্রণায় চিৎকার করত। আমরা বুঝতে পেরেছিলান চোট গুরুতর।”
পন্থের সুস্থ হয়ে ওঠার নেপথ্যে তাঁর মানসিক জোরকে সব থেকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তুলসী বলেন, “পন্থ শারীরিক ভাবে সুস্থ না হলেও ওর মানসিক জোর কমেনি। তাই আমরাও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম যে ওকে সুস্থ করে তুলব। তবে আমরা ভেবেছিলাম ওর মাঠে নামতে অন্তত দু’বছর সময় লাগবে। কিন্তু এনসিএ-তে অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে পন্থ। তার পুরো কৃতিত্ব ওর।”
পন্থ সব নিয়ম মেনে চলার ফলেই দ্রুত সুস্থ হতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন এনসিএ-র আর এক ফিজিয়ো ধনঞ্জয় কৌশিক। তিনি বলেন, “পন্থ নিয়ম করে খাবার খেত। নিয়ম করে বিশ্রাম নিত। নিয়ম করে পরিশ্রম করত। রিহ্যাব শুরু করার দিন থেকে ওকে যা যা বলা হয়েছিল, সব মানত পন্থ। সেই কারণেই অনেক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে পন্থ।”