পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেলেও বাবার কথায় ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন রিচা। ছবি - টুইটার
মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত হলেন ভারতের মহিলা দলের ক্রিকেটার রিচা ঘোষের বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। জলপাইগুড়ির সুভাষপল্লির মতো জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কয়েকজনকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদও। গোটা ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত রিচার পরিবার।
শনিবার রাতে এই ঘটনার সূত্রপাত। সুভাষপল্লিতে রিচাদের বাড়িতে তাঁর দিদির কয়েকজন বান্ধবী ঘুরতে এসেছিলেন। রাতের দিকে সেখান থেকে বেরনোর সময় বিপত্তি ঘটে। মানবেন্দ্রবাবু বলেন, “কয়েকজন মত্ত যুবক রিচার দিদি ও বান্ধবীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে। তারা অনবরত অশালীন কথাবার্তা বলছিল। গণ্ডগোলের আঁচ পেয়ে দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসি। প্রতিবাদ করি। ওদের আটকানোর চেষ্টা করলে ওরা আমায় পাল্টা আক্রমণ করে। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে এরপর ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ভিড় দেখে ছেলেগুলো সেখান থেকে চম্পট দেয়।”
শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েক জন জড়িত থাকতে পারে। তাদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি। বিষয়টি পৌঁছেছে মন্ত্রী গৌতম দেবের কানেও। তিনি গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
মানবেন্দ্রবাবু বলেন, “আমাদের এলাকায় মদ্যপদের দাপাদাপি বেড়ে গিয়েছে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে নজরদারির বেশ অভাব। বাড়ির সামনেই মদ্যপদের এমন দাপট মাথাব্যথার কারণ। তাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা দলের বিরুদ্ধে একদিনের ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রয়েছেন অলরাউন্ডার রিচা। গোটা ঘটনায় তিনিও বেশ উদ্বিগ্ন। লখনউ থেকে ফোনে বললেন, “চিন্তা করব বলে বাবা প্রথমে আমাকে কিছুই বলেনি। পরে অবশ্য জানতে পেরেছি। বাবা যা করেছে ঠিক করেছে। দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত।”